Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home গালি দিয়ে আমরা সুখ পাই কেন?
    লাইফস্টাইল

    গালি দিয়ে আমরা সুখ পাই কেন?

    Mohammad Al AminMay 7, 20219 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক: ধরুন, পথ চলতে গিয়ে হঠাৎ বেখেয়ালে আপনার পা আটকে গেল, আপনি একটা তীব্র হোঁচট খেলেন। তখন কী হয়? তীব্র যন্ত্রণাবোধের সাথে সাথেই সবচেয়ে নম্র-ভদ্র লোকটির মুখ থেকেও বেরিয়ে আসে একটা গালি। এটা প্রায় মানুষের রিফ্লেক্স বা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার মতই হয়ে গেছে। খবর বিবিসি বাংলার।

    কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছেন, একটা অশিষ্ট গালি দিয়ে আমরা এত আরাম বোধ করি কেন? গালির পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণ খুঁজতেই এ প্রতিবেদন।

    মানুষ গালি দিয়ে আরাম পায়, কিন্তু কেন? এটা কি আমরা জেনে বুঝেই করি, নাকি আমরা যখন অশিষ্ট ভাষা ব্যবহার করি তখন আমাদের মস্তিষ্কে এবং দেহে সত্যি কিছু একটা পরিবর্তন হয়?

    আমাদের সবার ক্ষেত্রেই এটা হয়েছে।

    আমরা হোঁচট খেয়ে পায়ের আঙুলে ব্যথা পেলাম, বা রাস্তায় আপনার গাড়িকে আচমকা বিপজ্জনকভাবে ওভারটেক করে চলে গেল আরেকটা গাড়ি, অথবা কাপ থেকে হঠাৎ পড়ে গেল কফি, বারোটা বেজে গেল মেঝের। এবং সাথে সাথেই- আমাদের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো ‘ছাপার অযোগ্য’ একটা গালি।

    এ রকম পরিস্থিতিতে আমরা প্রায় সহজাত প্রবৃত্তির মতই বেছে নিই একটা বা একগুচ্ছ অশ্লীল শব্দ, আর সেগুলো মুখ দিয়ে উগরে দেবার সাথে সাথেই- প্রায় যাদুমন্ত্রের মতই- আমরা তাৎক্ষণিক একটা আরাম বোধ করি।

    আমরা মেনে নিচ্ছি- সবাই এক রকম নয়। কেউ বেশি গালাগালি করে, কেউ বা কম। আবার অতিমাত্রায় খুশি হলে গালি দেয়, এমন লোকও আছে।

    কিন্তু এটা অন্তত মেনে নিন যে সব ভাষায়, সব সংস্কৃতিতেই মানুষ গালি দেয়।

    হয়তো এমনও হতে পারে যে অন্য প্রাণীরাও গালি দেয়, শুধু মানুষই নয়। তবে সে প্রসঙ্গ পরে, প্রথমে দেখা যাক- গালি দেবার প্রবণতার পেছনের বৈজ্ঞানিক কারণগুলো কী।

    গালির সংজ্ঞা কী?

    গালি বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ড. এমা বার্ন বলেন, গালি জিনিসটা আসলে ঠিক কি, তা নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করা খুব কঠিন।

    তিনি একটি বই লিখেছেন যার শিরোনাম “সোয়ারিং ইজ গুড ফর ইউ” – অর্থাৎ ‘গালি দেয়া আপনার জন্য ভালো!’

    ড. বার্ন বলছেন, গালি হচ্ছে এমন এক ধরনের ভাষা যা আমরা চমকিত বা স্তম্ভিত বা উৎফুল্ল হলে ব্যবহার করি, অথবা ব্যবহার করি মজা করার জন্য বা কারও প্রতি আক্রমণাত্মক হবার জন্য। তবে এটা এমন একটা সাংস্কৃতিক ব্যাপার যা শুধু একটা জনগোষ্ঠী, ভাষা, সমাজ, দেশ বা ধর্মের মধ্যেই অর্থপূর্ণ হতে পারে।

    তিনি বলছেন, প্রকৃতপক্ষে কোন শব্দটা একটা গালি হয়ে উঠবে তা আমরা সবাই মিলেই ঠিক করি।

    ড. বার্ন বলেন, আর সেটা হয় অনেকটা এইভাবে- আমরা সবাই একমত হই যে কোন একটা বিশেষ সংস্কৃতিতে কোন জিনিসগুলো ‘ট্যাবু’ (যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা হয় না)। কোনো সমাজ হয়তো দেহের কোন বিশেষ অংশের উল্লেখে লজ্জা-অপমান বোধ করে, কারো ক্ষেত্রে এটা হতে পারে কোন প্রাণীর নাম, কারো ক্ষেত্রে হয়তো কোন অসুখ বা রোগ, কারও বেলায় কোন বিশেষ শারীরিক ক্রিয়া।

    তবে সব গালির ক্ষেত্রেই একটা বিশেষ দিক আছে যা এর ‘কার্যকারিতার জন্য’ খুব গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি বলেন, একটা গালি দিয়ে কাঙ্ক্ষিত মানসিক অভিঘাত সৃষ্টির জন্য আপনাকে অবশ্যই সেই বিশেষ সমাজের কোনও একটা নিষিদ্ধ বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করতে হবে।

    ড. বার্ন বলছেন, গালি হচ্ছে সেই ধরনের ভাষা- যা আপনি কিছু কিছু পরিস্থিতিতে কখনোই ব্যবহার করবেন না, যেমন কোন চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময়, বা আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার বাবা-মায়ের সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময়।

    তাহলে আমরা গালি দেই কেন?

    এ প্রশ্ন করা হয়েছিল বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস রেডিওর কয়েকজন শ্রোতাকে ।

    গ্যাডি নামে একজন বলছিলেন, খুব চাপের মধ্যে আছি এমন পরিস্থিতিতে বা যখন অপ্রত্যাশিত কিছু একটা ঘটে, তখন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার মতই একটা গালি বেরিয়ে আসে। আর তখন কেমন করে যেন ভালোও লাগে।

    মিখাইল নামের আরেক শ্রোতা বলছিলেন, আমি যখন গালি দেই, সেটা একটা আনন্দ, চরম বিস্ময়, বা গভীর দুঃখ, বেদনা, বা ক্রোধ- যে কোন রকম পরিস্থিতিতেই হতে পারে। মনে হয়, আপনার আবেগ প্রকাশ করার জন্য এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত উপায়।

    “আমার ক্ষেত্রে গালিটা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে, কিছু ভাবার আগেই যেন ব্যাপারটা ঘটে যায়। আর গালি দেবার পরপরই আমি ভালো বোধ করি,” -বলছিলেন আরেকজন – যার নামের আদ্যক্ষর ‘ই’।

    ক্লারা নামে আরেক শ্রোতা বলেন, আমি খুব বেশি গালি দেই না। আমার মনে হয় গালাগালি বেশি করলে এর জোর কমে যায়। আমার মনে হয়, গালিটাকে সেই সময়ের জন্য জমিয়ে রাখা উচিত- যখন এটা ব্যবহার করলে তার সত্যি একটা অভিঘাত হয়।

    এমন লোকও নিশ্চয়ই আছেন যারা কখনোই গালি দেন না। তবে এই শ্রোতারা যা বলছেন- তা হয়তো আমাদের অনেকের সাথেই মিলে যাবে: বিশেষ করে মুখ থেকে খারাপ ভাষা ছুঁড়ে দেবার অনুভূতি- এমন কিছু শব্দ, যাতে একটা অতিরিক্ত শক্তি ভরা থাকে বলে আমাদের মনে হয়।

    ড. বার্ন বলছেন, তার গবেষণার সময় যে বিষয়গুলো সবচেয়ে আগ্রহ-উদ্দীপক বলে মনে হয়েছে তার একটা হলো- যে মানুষদের হেমিস্ফিয়ারেকটমি বলে এক ধরণের মস্তিষ্কের অপারেশন হয়েছে- তারা কথা বলার ক্ষমতা অনেকটা হারিয়ে ফেললেও গালি দেবার ক্ষমতা রয়ে যায়। হেমিস্ফিয়ারেকটমি হচ্ছে এমন একটা অস্ত্রোপচার যার মাধ্যমে মস্তিষ্কের নষ্ট হয়ে যাওয়া একটি অংশ অপসারণ করা হয়।

    তিনি বলেন, দেখা গেছে, কারও হয়তো মস্তিষ্কের বাম দিকের অংশ কেটে বাদ দেয়া হয়েছে, বা স্ট্রোকের মত কোন কারণে মস্তিষ্কের বাম দিক গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- তার ফলে সে হয়তো কথা বলার ক্ষমতা বা ভাষার অনেকটাই হারিয়ে ফেলে, কিন্তু তখনও সে গালি দিতে পারে। এতে মনে হয়, কিছু ধরনের কথার সাথে আমাদের আবেগের খুব জোরালো সম্পর্ক আছে এবং সেগুলো আমাদের মস্তিষ্কের ভিন্ন কোন একটা জায়গায় জমা থাকে। সেকারণেই মস্তিষ্কের কিছু অংশ কেটে বাদ দিলে তার সাধারণ ভাষা ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়, কিন্তু স্বত:স্ফূর্তভাবে গালি দেবার ক্ষমতাটা ঠিকই রয়ে যায়। গালি দেয়াটা আমাদের আবেগের সাথে এত গভীরভাবে সম্পর্কিত যে ওই শব্দগুলো উচ্চারণের জন্য যে মাংসপেশীর নড়াচড়ার দরকার হয়, তা একাধিক জায়গায় ধারণ করা থাকে। যাতে দরকার মতো ব্যবহারের জন্য ‘ব্যাকআপ’ থাকে।

    যন্ত্রণার লাঘব করতে কি গালি সহায়ক হয়?

    কীল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের সিনিয়র লেকচারার ড. রিচার্ড স্টিভেন্স বলেন, আমি অনেক সময় ভেবেছি যে যখন আমরা কোন কষ্ট বোধ করছি তখন গালি দেবার কোন অর্থ আছে কিনা এবং তা আমাদের সহায়ক হয় কিনা।

    তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা “গালি ল্যাবরেটরি” আছে যেখানে তারা এ সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান।

    যেমন, একটা পরীক্ষা আছে যাতে দেখা হয় কোন চরম পরিস্থিতিতে বা ব্যথা-যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষেত্রে গালি দেয়াটা সহায়ক হয় কিনা।

    পরীক্ষাটা হলো, বরফ ভর্তি একটা বালতিতে হাত ডুবিয়ে রাখা এবং দেখা কতক্ষণ পর্যন্ত একজন এটা সহ্য করতে পারে। একজন ব্যক্তিকে নিয়ে দু’বার পরীক্ষাটা করা হয়। একবার তিনি গালাগালি দিতে থাকবেন, আরেকবার ভদ্র ভাষা ব্যবহার করবেন।

    বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, যখন পরীক্ষাধীন ব্যক্তিটি গালি দিচ্ছেন তখন তিনি দীর্ঘতর সময় বরফে হাত ডুবিয়ে রাখতে পারছেন, এবং ব্যাপারটা অপেক্ষাকৃত ভালোভাবে সহ্য করতে পারছেন।

    কিন্তু যখন তিনি ভদ্র বিকল্প শব্দ ব্যবহার করছেন তখন তার সমস্যা হচ্ছে- কারণ ওই শব্দগুলো তার আবেগের ওপর সেই প্রভাব ফেলতে পারছে না, যা গালিসূচক শব্দগুলো পারছে।

    এর কারণ কি?

    ড. স্টিভেন্স বলেন, সাধারণ শব্দ ব্যবহারের তুলনায় গালি দেবার সময় মানুষের হৃৎপিন্ডের গতি বেড়ে যায় বলে আমরা দেখেছি। আমরা জানিয়ে যে গালিটা এক ধরনের আবেগপূর্ণ ভাষা, এবং এরকম ভাষায় কথা বলার সময় একধরনের আবেগগত প্রতিক্রিয়া হয় মনে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, সে কারণে আমরা অনুমান করছি যে যখন মানুষ বেদনাহত হয়ে গালাগালি করে – তখন তারা আসলে তাদের স্ট্রেস বা মানসিক চাপের স্তর বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং এর মধ্যে থেকেই এমন একটা প্রক্রিয়া ঘটছে যাতে তার ব্যথার অনুভূতি অসাড় হয়ে যাচ্ছে- যাকে বলা হয় ‘স্ট্রেস ইনডিউসড এ্যানালজেসিয়া’- এবং এটা ‘যুদ্ধ করো অথবা পালাও’ এ জাতীয় বৃহত্তর প্রতিক্রিয়ার অংশ।

    আরেকজন শ্রোতা কলিন বলেন, আমি সাধারণত গালি দিই না। কিন্তু কয়েকবছর আগে একটা দুর্ঘটনার পর আমাকে একটা পর্বত থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাতে আমার কাঁধের হাড়ের জোড়া খুলে যায় এবং আমাকে একটা স্লেজে করে নামাতে হয়েছিল। প্রতিটি ঝাঁকুনির সাথে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল আর পর্বত থেকে নেমে আসার পুরো পথটাই আমি সমানে গালি দিচ্ছিলাম। আর কোন কথায় কাজ হচ্ছিল না।

    বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি

    এতক্ষণ পর্যন্ত আমরা যা জানলাম- তাতে কি বলা যায় যে সব সংস্কৃতিতেই গালি দেবার পর একই অনুভূতি হয়?

    দেখা গেল, বিবিসির ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের বেশ কিছু শ্রোতা আছেন যারা অশ্লীল গালিগালাজে দক্ষ- এবং তারা আবার আমাদের সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন।

    ক্লারা নামে একজন শ্রোতা বলেন, স্প্যানিশ ভাষা গালাগালির জন্য খুবই সৃষ্টিশীল এক ভাষা। এতে যখন কেউ ভীষণ রেগে যায়, তখন আপনি শুনবেন সে পুরো বাক্য বলছে, যা বর্ণনা করছে তাতে কর্তা-কর্ম-ক্রিয়াপদ সবই আছে- কিন্তু তার সবগুলো শব্দই আসলে গালি।

    মল্টা থেকে একজন শ্রোতা বলছেন, এদেশে আপনি একজন কে সবচাইতে অপমানজনক যে শব্দটি বলতে পারেন- তার মোটামুটি অর্থ দাঁড়ায় “বীর্য”। এটা নিশ্চয়ই একটা অদ্ভুত ব্যাপার, কারণ অন্য কোন ভাষায় এ শব্দটিকে গালি হিসেবে ব্যবহার করলে লোকে আপনাকে পাগল ঠাওরাবে।

    মিখাইল বলেন, রুশ ভাষা হচ্ছে গালি দেবার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট ভাষা। এ ভাষায় প্রায় যে কোন কিছুকেই অশিষ্ট বানানো যায়। গালাগালির সংস্কৃতি আমাদের সাহিত্যের গভীরে প্রোথিত। আর, গালি দেয় না এমন একজন রাশিয়ান লোক কল্পনা করাই দুষ্কর।

    জ্যাকুলিন বলছেন, ম্যান্ডারিন চীনা ভাষায় কিছু মজার গালাগালি আছে। যার অর্থ হচ্ছে আপনার ১৮ প্রজন্ম আগের পূর্বপুরুষদের প্রতি খারাপ কিছু করা। যেমন ধরুন কাউকে বলা হচ্ছে, আমি তোমার মায়ের সাথে এটা করবো, নানীর সাথে করবো, আর তোমার ১৮ প্রজন্মের সবার সাথে করবো…. ইত্যাদি।

    আরেকটা চীনা গালি আছে যা কচ্ছপের ডিমের সাথে সম্পর্কিত। এটা তৈরি হয়েছে এই ধারণা থেকে যে মা-কচ্ছপদের বহু প্রেমিক থাকে।

    তাই কাউকে যদি ‘কচ্ছপের ডিম’ বলা হয়, এর অর্থ হচ্ছে- তার বাবা কে তার কোন ঠিক নেই।

    কাজেই দেখা যাচ্ছে যে গালির বিষয়বস্তু নানা দেশে নানা রকম হতে পারে। কিন্তু গালাগালিটা যে মানুষের সংস্কৃতির একটা বৈশ্বিক দিক- তা বেশ স্পষ্ট।

    প্রাণীরাও কি গালি দেয়?

    শুধু মানুষই যে গালি দেয় তা নয়।

    ড. এমা বার্ন বলছেন, শিম্পাঞ্জীদের নিয়ে কিছু দারুণ সমীক্ষা হয়েছে- যাতে কিছু শিম্পাঞ্জীকে লালনপালন করা হয়, এবং পারিবারিক পরিবেশে রাখা হয়।

    আমেরিকান প্রাইমেট বিশেষজ্ঞ ডেবোরা ও রজার ফুটস এই শিম্পাঞ্জীদের চারপাশে থাকতেন এবং তারা তাদের সামনে শুধু হাত-মুখের ইশারার ভাষায় কথা বলতেন।

    এভাবে তারা শিম্পাঞ্জীদের সবকিছুর জন্য ইশারা-ইঙ্গিতের ভাষা শিখিয়ে দেন।

    বন্য পরিবেশে শিম্পাঞ্জীরা প্রায়ই নিজেদের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করে।

    কিন্তু ফুটস ওই শিম্পাঞ্জীদের বিষ্ঠাকে একটি নিষিদ্ধ জিনিস হিসেবে শিক্ষা দেন এবং তাদের মানুষের মত বাড়ির একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মলত্যাগ করার প্রশিক্ষণ দেন।

    তারা এটা করার পর শিম্পাঞ্জীরা মলত্যাগ সংক্রান্ত ইশারার ভাষাও ব্যবহার করতে শিখে যায়, বলছিলেন ড. বার্ন।

    পরে দেখা যায়, এটাকে তারা হতাশা প্রকাশ করতে, বা কাউকে বকুনি দিতে ব্যবহার করতো। তারা অন্য শিম্পাঞ্জীদের ইশারার ভাষায় ”নোংরা বানর” বলতো- যা ছিল তাদের কাছে সবচেয়ে খারাপ অপমানসূচক সম্বোধন।

    তারা পরস্পরের সাথে বিষ্ঠা নিয়ে রসিকতাও করতো বলে জানাচ্ছেন ড. বার্ন।

    তিনি বলেন, তাদের দেখা যেতো হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে তারা চিবুকের নিচে জোরে জোরে আঘাত করতে- ইশারার ভাষায় যার অর্থ নোংরা।

    ড. বার্ন বলেন, তার মানে তারা পরস্পরের প্রতি বিষ্ঠা নিক্ষেপের পরিবর্তে শব্দ নিক্ষেপ করতে শিখেছে। এটাই ছিল আমার বইয়ের জন্য করা গবেষণার অন্যতম আগ্রহ-উদ্দীপক দিক। আমি উপলব্ধি করলাম- যখনই আপনার কোন একটা ”ট্যাবু” থাকে এবং তা প্রকাশ করার উপায় থাকে- তখনই তা গালির আকারে বেরিয়ে আসতে পারে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    টাকা

    ১৯৭৪ সালের ১ টাকা থাকলে যত টাকা পাবেন আপনি, জেনে নিন বর্তমান সময়ের দাম

    July 5, 2025
    কলা

    বাড়িতে বহুদিন কলা ভালো রাখার দুর্দান্ত ৫টি উপায়

    July 5, 2025
    যৌবন

    যৌবনের ৬টি ভুল, যার খেসারত অনেক বড়

    July 5, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Realme C53 বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Realme C53 বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Redmi Note 13 5G বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    Redmi Note 13 5G বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    How to Get Amazon Affiliate Approval Fast

    How to Get Amazon Affiliate Approval Fast

    Freelance Writing: Best Online Jobs for Students in India

    Freelance Writing: Best Online Jobs for Students in India

    Huy Fong Foods Sriracha Sauce: Leading Global Hot Sauce Innovation

    Huy Fong Foods Sriracha Sauce: Leading Global Hot Sauce Innovation

    Lele Pons: The Venezuelan Fury Dominating Social Media

    Lele Pons: The Venezuelan Fury Dominating Social Media

    North West Kardashian: The Rising Star of Reality TV Royalty

    North West Kardashian: The Rising Star of Reality TV Royalty

    Ashura

    আজ পবিত্র আশুরা

    hasnat

    আ.লীগের ব্যবসাগুলো কারা চালায় আমরা জানি : হাসনাত

    food advisor

    খুব শিগগিরই চালের বাজার স্বাভাবিক হবে: খাদ্য উপদেষ্টা

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.