নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর : সাড়ে পাঁচশো টাকায় দেয়া হবে সিসি ক্যামেরা! নিশ্চিয়ই ভাবছেন কিভাবে সম্ভব? হ্যাঁ এমনই অবিশ্বাস্য অফার দেখিয়ে শত শত মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ডের অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরের নাম আজিজুর রহমান শিরিষ। টাকা দেয়ার দেড় বছরেও এখনো একজন বাসিন্দাও ক্যামেরা না পাওয়ায় সম্প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তারা।
সোমবার সরেজমিনে নগরীর মেঘডুবিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা হয়।
আতাউর রহমান নামে একজন অভিযোগ করে বলেন, ২ হাজার ১৯ সালে একটি রশিদ ধরিয়ে দিয়ে টাকা নিয়েছে। এরপর আর কেউ এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করেনি।
একই অভিযোগ করেন কুদাবো এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ।
তিনি বলেন, আপনাদের কাছে বলে কি-লাভ। টাকা নিয়েছে আমাদের আমরা বুঝি। যদি পারেন টাকা এনে দেন–না হলে ক্যামেরা।
এ দিকে স্থানীয় কয়েকজন ক্ষমতাসীন দলের নেতার সঙ্গে কথা হয় বিষয়টি নিয়ে। একাধিক নেতা ডিজিটালাইজেশনের নামে টাকা নেয়াকে সরকারের ভাবমূর্তির ক্ষুন্ন মনে করছেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, ২ হাজার ১৯ সালে নগরীর মেঘডুবি, খোরাইদ, কুদাবের বাসিন্দাদের অনেকটা বাধ্য করে টাকা তুলেন এনটস নামে একটি এনজিও ও কাউন্সিলর। সে সময় দেয়া রশিদে সিটি কর্পোরেশন ও এনটচ নামে একটি এনজিও’র লোগো ও স্বাক্ষর রয়েছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর আজিজুর রহমান শিরিষ বলেন, করোনার জন্য টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেব।
ওয়ার্ড কাউন্সিলরের এ অনিয়মের ব্যাপারে সিটি অভিভাবকের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্যে, ৯টি গ্রামের ২২ হাজার বাসিন্দা নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের চল্লিশ নম্বর ওয়ার্ড। অভিযুক্ত কাউন্সিলরের দাবি এখন পর্যন্ত তিনটি গ্রাম থেকে টাকা তুলেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।