গিনেস বুকে ২ রেকর্ড গড়লেন নেইমার

স্পোর্টস ডেস্ক: গত ১৫ ধরে ফুটবল মাঠে দ্বৈরথ চালিয়ে যাচ্ছেন পর্তুগীজ সম্রাট ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ও আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসি। তবে এ দুজনের বাহিরে আরও কিছু ফুটবলার আছেন যারা নিজেদের আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন এবং অসাধারণ ফুটবল উপহার দিয়ে যাচ্ছেন ভক্তদের।

সাবেক ফুটবলার থেকে বিশেষজ্ঞরা, অনেকেই বর্তমান দুজন খেলোয়াড়কে এগিয়ে রাখছেন যারা রোনালদো-মেসি অবসরে যাওয়ার পর আগামীতে ফুটবল দুনিয়াতে রাজত্ব করতে পারেন। আর সে দুজন ফুটবলার হচ্ছেন, ফ্রেঞ্চ তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে এবং ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র। ইতোমধ্যে এমবাপ্পে তার ক্যারিয়ারকে অনেকটাই উজ্জ্বল করেছেন ২০১৮ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ জিতে।

এদিকে ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশনস কাপ এবং ২০১৬ রিও অলিম্পিকে সোনা জিতেছেন নেইমার। কিন্তু তাতে কি মন ভড়বে ব্রাজিল সমর্থকদের! হ্যাঁ, নেইমার গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে দুইবার নিজের নামও লিখিয়েছেন।

গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নেইমার জুনিয়রের গড়া দুটি রেকর্ড হলো:

(এক) ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ফুটবলার:

ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জুনিয়র তার সাবেক ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে টানা চারটি মৌসুম খেলেছেন। চার মৌসুম মিলিয়ে ম্যাচ খেলেছেন ১২৩টি এবং গোল করেছেন ৬৮টি। শুধু তাই নয়, বার্সার হয়ে দু’বার লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছেন এক বার।

তবে কাতালান ক্লাবটিতে টানা চার মৌসুম কাটানোর পর ২০১৭ সালে ফ্রেঞ্চ ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) পাড়ি জমান তিনি। ২০১৭ সালে খেলোয়াড় কেনা-বেচার বাজারে নেইমারকে বার্সা থেকে পিএসজিতে ভেড়াতে গুনতে হয়েছে মোটা অংকের টাকা।

ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টারকে কিনতে সে সময় ফ্রেঞ্চ ক্লাবটি খরচ করেছিলো ২২২ মিলিয়ন ইউরো। যা বাংলাদেশি টাকায় আসে ২১১৮৩৩৫৩৪৪২ (দুই হাজার একশ আঠারো কোটি তেত্রিশ লাখ তিপ্পান্ন হাজার চারশ বিয়াল্লিশ) টাকা। আর এতেই গিনেস বুকে নিজের নাম লিখে ফেলেন নেইমার। ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের তকমাটা নিজের শরীরে লাগান তিনি।

(দুই) অলিম্পিক গেমসে ছেলেদের ফুটবলে সবচেয়ে দ্রুত গোল করার রেকর্ড:

২০১৬ অলিম্পিকের সেমিফাইনাল ম্যাচে হন্ডুরাসের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে অলিম্পিক ইতিহাসের দ্রুততম গোলের রেকর্ডটি করেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান এই তারকা হন্ডুরাসের ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে মাত্র ১৪ সেকেন্ডের মধ্যে বল জালের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন।

আর এই গোলের মাধ্যমেই গিনেস বুক রেকর্ডের পাতায় অলিম্পিকের ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুততম গোল করার নামটাও লিখে ফেলেন নেইমার।