বিনোদন ডেস্ক : বলিউড চলচ্চিত্র জগতে অনেকেই নিজের ক্যারিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় অভিনয়ের মাধ্যমে অবদান রেখে গেছেন। কিন্তু শাম্মী কাপুরের জীবনসঙ্গী গীতা বালির কাহিনি এখানে আলাদা হয়ে দাঁড়ায়। গীতার জীবন আর কর্মজীবন এমন এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেভাবে বিয়ের পরও চলচ্চিত্রের সাথে সংযুক্তি বজায় রাখতে পেরেছিলেন তিনি।
গীতা বালি: শাম্মী কাপুরের প্রথমা স্ত্রী যিনি চলচ্চিত্রকে আপন করে নিয়েছিলেন
গীতা বালি ছিলেন শাম্মী কাপুরের প্রথম স্ত্রী। তাঁদের প্রেমকাহিনি গড়ে উঠেছিল ১৯৫৫ সালে ‘মিস কোকা কোলা’ ছবির শুটিংয়ের সময় ফিল্মফেয়ারের তথ্যমতে। চলচ্চিত্রে বার নৃত্যশিল্পী হিসেবে গীতার অভিনয়ে শাম্মী কাপুরের সাথে তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। শাম্মী নিজে তখন হর্ষিত ছিলেন যাকে নাদিয়া গামাল, একজন মিশরীয় বেলি ড্যান্সারের সাথে বিয়ের কথা ভাবছিলেন।
কিন্তু গীতা বালির সাথে দেখা হওয়ার পর তাঁদের সম্পর্ক নতুনভাবে আঙ্গিক পায়। ‘রঙ্গিন রাতেন’ ছবির সেটে গীতার সাথে পুনরায় ঘনিষ্ঠতা এবং বিবাহ বাসর পর্যন্ত পৌঁছায়। ১৯৫৫ সালের মধ্যেই তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিয়ের পর গীতার চলচ্চিত্র জীবনে অটুট পদচারণা
বিয়ের পরও গীতা বালি অভিনয়ে কেমন করে বিরতি না নিয়েই কাজ চালিয়ে গেছেন তার গল্প আজও বলিউডে বিশেষ ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। গীতা বালি মোট ৭৫টি ছবিতে অভিনয় করেছেন এবং বিয়ের পর ২০টিরও বেশি মুভিতে উপস্থিত ছিলেন। এ যেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে এক একান্ত এবং উজ্জ্বল উদাহরণ।
১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘যবসে তুমহেন দেখা হ্যায়’ ছিল তাঁর অভিনীত শেষ ছবি। কিন্তু ১৯৬৫ সালে মৃত্যুর আগমুহূর্তে তিনি ‘রানো’ ছবি শুরু করেছিলেন যা আর সম্পন্ন হয়নি। ইন্ডাস্ট্রিতে কার্যকরী উপস্থিতি ও নিয়মিত অভিনয় গীতা বালির ব্যক্তিত্বের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য।
কাপুর পরিবারের রীতি এবং মুমতাজের অভিজ্ঞতা
বিষয়টির বিশেষ প্রেক্ষাপটে মুমতাজের একটি সাক্ষাৎকার আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল, যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন যে কাপুর পরিবারের ঐতিহ্য অনুসারে, তাদের সদস্যদের একজন পুত্রবধূ বিয়ের পর চলচ্চিত্রে কাজ করতে পারবে না। কিন্তু গীতা বালির অবদান সেই নিয়মের বিপরীত উদাহরণ রেখে গেছে। এই তথ্যের পুনরাবৃত্তি করতে গিয়ে ঋষি কাপুরের বক্তব্যও তাই প্রমাণ করে যে, অতীতে কাপুর পরিবারের চর্চায় এমনই অবস্থা ছিল।
শেষের পথে তাজা কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
কাপুর পরিবারের প্রথম পুত্রবধূ কে ছিলেন যিনি বিয়ের পরও কাজ করেছেন?
গীতা বালি ছিলেন প্রথম পুত্রবধূ যিনি বিয়ের পরও চলচ্চিত্রে সক্রিয় ছিলেন।মুমতাজ কেন শাম্মী কাপুরের বিয়ে করতে চাননি?
তার মতে, শাম্মী কাপুরের সাথে বিয়ের পর তাকে অভিনয় ছেড়ে দিতে হতো।কোন ছবির সময় গীতা বালি অভিনেত্রী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন?
১৯৫৫ সালে ‘মিস কোকা কোলা’ ছবির সময়।- গীতা বালির চূড়ান্ত মুক্তি পাওয়া ছবি কোনটি?
তার চূড়ান্ত মুক্তি পাওয়া ছবি ছিল ‘যবসে তুমহেন দেখা হ্যায়’।
এ জীবনী প্রমাণ করে যে, এক সমৃদ্ধ এবং উজ্জল কর্মজীবন নির্মাণে বিয়ে সবসময়ই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না; যদি সেই ব্যক্তির কাছে স্বপ্ন সফল করতে দৃঢ় সংকল্প থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।