গুগলের ‘উইলো’: কোয়ান্টাম প্রসেসরে প্রযুক্তির নতুন যুগ

গুগলের ‘উইলো

কোয়ান্টাম কম্পিউটারের জন্য প্রসেসর তৈরি করেছে গুগল। গুগলের দাবি, ‘উইলো’ নামের এই প্রসেসরের মাধ্যমে যে সমস্যা সমাধান করতে পাঁচ মিনিট সময় লাগে, তা করতে বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম সুপার কম্পিউটারের প্রয়োজন হবে দশ সেপ্টিলিয়ন বছর। ১ সংখ্যার পরে ২৪টি শূন্য বসলে যে সংখ্যা হয়, তাকে ১ সেপ্টিলিয়ন বলে। আর তাই কোয়ান্টাম কম্পিউটার দুনিয়ার সর্বশেষ চমক বলা হচ্ছে নতুন প্রসেসরটিকে।

গুগলের ‘উইলো

কোয়ান্টাম কম্পিউটারে কোয়ান্টাম মেকানিকস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আর তাই কোয়ান্টাম মেকানিকসের মাধ্যমে প্রচলিত কম্পিউটারের তুলনায় অনেক দ্রুত জটিল সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। কোয়ান্টাম কম্পিউটারের শক্তি অনেক, ফলে এসব কম্পিউটারের মাধ্যমে জটিল কাজ খুব সহজে করা যায়। আর তাই কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি নিয়ে বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা দেখা যাচ্ছে। গুগলের তথ্যমতে, উইলো প্রসেসরের মাধ্যমে বড় আকারের কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির পথ প্রশস্ত হবে।

উইলো প্রসেসরটি তৈরি করেছে গুগলের কোয়ান্টাম এআই ল্যাব। ল্যাবটির প্রধান বিজ্ঞানী হার্টমুট নেভেন জানান, ওষুধশিল্পের বিভিন্ন গবেষণার কার্যকারিতা বোঝার জন্য উইলো প্রসেসর ব্যবহার করা হতে পারে। এ ছাড়া নিউক্লিয়ার ফিউশন রিঅ্যাক্টরের নকশা করাসহ গাড়ির ব্যাটারির মান উন্নয়নেও ব্যবহার করা যাবে প্রসেসরটি। বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী উইলো প্রসেসর এই দশকের শেষ নাগাদ উন্মুক্ত করা হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী অ্যালান উডওয়ার্ড জানান, কোয়ান্টাম কম্পিউটার বর্তমান ক্ল্যাসিক্যাল কম্পিউটারের তুলনায় অনেক ক্ষেত্রেই ভালোভাবে কাজ করবে। যদিও কোয়ান্টাম কম্পিউটার কখনোই প্রচলিত কম্পিউটারের জায়গা দখল করবে না।