সারা বিশ্বজুড়ে টিকটক এখন অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এক বিলিয়নের বেশি মানুষ এটি আগ্রহ নিয়ে ব্যবহার করে।
জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে সব বয়সের মানুষ যেন নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী টিকটক ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
টিকটক এখন বড় ধরনের সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে কাজ করতে চায়। তাহলে প্রশ্ন করতে পারে এটি গুগলকে সরিয়ে নিজের জায়গা নিতে সক্ষম হবে? এর উত্তর হচ্ছে না।
টিকটক শুধুমাত্র নিজের কনটেন্টের জন্যই সার্চ অপশন হিসেবে কাজ করবে। এটা শুধু ভিডিও কনটেন্টের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকবে। কিন্তু গুগল অনেক বিস্তারিত পরিসরে কাজ করে।
খাদ্য, বাগান এবং ভ্রমণ সম্পর্কিত ক্ষেত্রে গুগল টিকটক এর কাছে কিছুটা মার্কেট হারিয়েছে। তবে এতে গুগলের খুব বেশি ক্ষতি হয়ে যায়নি।
টিকটক এ আপনি কোন তথ্যের জন্য সার্চ করলে সেটি ভুল হতে পারে। তবে গুগলের ক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম। টিকটকের সব থেকে বড় শক্তি হলো বিশ্বজুড়ে তাদের তরুণ কাস্টমার।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী টিকটকে যেটা করে সেটা হচ্ছে নতুন কনটেন্ট ও আইডিয়া খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা। সেটা বিনোদন সংক্রান্ত হতে পারে, আর্থিক সম্পর্কিত হতে পারে বা নতুন আইডিয়া বের করতে পারা।
বিউটি, ফ্যাশন, হোম প্রোডাক্ট এসব ক্ষেত্রে নতুন আইডি খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও টিকটক কাজ করে যাচ্ছে। টিকটকের লক্ষ্য হচ্ছে সঠিক সময় সঠিক কন্টেন্ট ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
টেকনোলোজি সারা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হওয়ায় যদি google এর পাশাপাশি ভালো মানের সার্চ ইঞ্জিন পাওয়া যায় তাহলে মানুষের কাছের টিকটকের জনপ্রিয়তা স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে।
মানুষের যা দরকার এবং যেটি দরকার এবং যে ফরম্যাটে ব্যবহার করে দেখতে চায় টিকটোক যদি তা সময় মত মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে তাহলে তাদের অবস্থান শক্ত থাকবে।
টিকটক অবশ্যই এখন গুগলের জন্য হুমকি নয়। তবে পরবর্তী কয়েক মাস আরো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে হবে যে তাদের সার্চ ইঞ্জিন কাঠামো কতটা শক্তিশালী এবং তাদের অ্যালগরিদম কীভাবে কাজ করে। তবে এখনো পর্যন্ত গুগলের জায়গা কেউ নিতে পারবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।