জুমবাংলা ডেস্ক : রংপুরের পীরগাছার উপজেলায় গুপ্তধন স্বর্ণের কলসের লোভে বড় বোনকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আপন ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে।বড় বোন এমন গুপ্তধনের কথা স্বপ্নে জেনেছে বলে ছোট ভাইকে বলার পর তাকে হত্যা করা হয়।
রংপুরের পীরগাছা আমলি আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঘাতক শহিদুল ইসলাম।
নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে ডিএমপি তুরাগ থানার এসআই ফজল মাহমুদের স্ত্রী আকলিমা বেগমের (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার রাতে পীরগাছা উপজেলার ইটাকুমারি গ্রাম থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ ধরনের তথ্য দিয়েছেন ঘাতক। সে পীরগাছা উপজেলার তালুক ঈশাদ ডারারপাড় গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, রোববার রাতে পুলিশ উপজেলার ইটাকুমারি গ্রাম থেকে আকলিমা বেগমের ছোট ভাই শহিদুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন, তাদের বাড়ি কাছে একটি বটগাছ রয়েছে সেখানে জ্বিন থাকে। ওই জ্বিন তার বোনকে স্বপ্নে বলে, ‘তোকে গুপ্তধন দেওয়া হবে।’ বাড়ির পাশের পুকুরে স্বর্ণের কলসি রয়েছে, যা তাকে দেওয়া হবে বলে আকলিমা তার ছোট ভাই শহিদুল ইসলামকে জানান। পরে শহিদুল ইসলামের ওই গুপ্তধনের লোভে নিজের বোনকে পুকুরের পানিতে চুবিয়ে মারেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে পীরগাছা আমলি আদালতে হাজির করা হলে তিনি বিচারকের সামনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পীরগাছা উপজেলার তালুক ইসাদ ডারারপাড় গ্রামের বাড়ির পাশের পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পীরগাছা থানা পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।