জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানে এক বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ভয়ংকর প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। ইটালি পাঠানোর কথা বলে এ পর্যন্ত ২০-৩০ জনের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। বায়িং হাউজে বিনিয়োগ এবং তৈরি পোশাক আমদানি করার কথা বলে এই বিদেশি নাগরিক কয়েক জনকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে নিঃস্ব করেছেন।
সিআইডি, পুলিশের গুলশান বিভাগ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার অনুসন্ধানে তার মানব পাচার ও ব্যাবসায়িক প্রতারণার বিষয়টি উঠে এসেছে বলে জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের ২৪ জুলাইয়ের সংখ্যায় প্রকাশিত সাংবাদিক জামিউল আহসান সিপুর করা একটি বিশেষ প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
বনানীর ৫৫ নম্বর সড়কের একটি বাড়ি এবং গুলশান-২-এর ৫৯ নম্বর সড়কের একটি বাড়িসহ তার কয়েকটি অফিস রয়েছে। গুলশান-বনানীর বিভিন্ন অভিজাত ক্লাবেও তাকে নিয়মিত দেখা যায়। সাবলীলভাবে বাংলা ভাষা বললেও ঐ ব্যক্তি দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশের নাগরিক। তার বিরুদ্ধে গুলশান, বনানী ও ভাটারা থানায় বেশ কিছু মামলা ও জিডি রয়েছে। চেক প্রতারণার অভিযোগে এনআই (নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট) অ্যাক্ট, সিআর (কমপ্লেইন রেজিস্টার) মামলাসহ আদালতে রয়েছে আরো মামলা। এসব মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে তার বিরুদ্ধে। কিছু মামলায় তিনি জামিন নিয়েছেন। প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় জেল খেটে কিছুদিন আগে জামিনে বেরিয়েছেন। অবৈধ অর্থ পাচারের অভিযোগ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) তার ব্যাংক হিসাব জব্দ করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ও জিডি আছে বলে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা সেগুলো তদন্ত করছেন।’
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ঐ নাগরিকের পাসপোর্ট নম্বর এই-১১৫৭৪৩। মাল্টিপল ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন। তার জন্ম তারিখ ৭ জুলাই ১৯৮১। তার বাবার নাম পারভেজ আহম্মেদ। সম্প্রতি লিবিয়ায় মানব পাচারের বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে ঐ বিদেশি নাগরিকের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে। ঐ ব্যক্তি মিরপুরের পাইকপাড়ার বাসিন্দা নাজমুল হোসেনকে ইটালি পাঠানোর জন্য ৮ লাখ টাকা নিয়েছেন। বছর পেরিয়ে গেলেও ইটালি যেতে না পেরে নাজমুল তার টাকা ফেরত চান ঐ ব্যক্তির কাছে। কিন্তু টাকা না দিয়ে তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন ও নানাভাবে হুমকি দিতে থাকেন। নিরুপায় নাজমুল পরে আদালতে সিআর মামলা করেন, যার নম্বর ১৫০/২০২০। মামলার পরও একটি টাকাও ফিরে পাননি নাজমুল।
একজন সেনা কর্মকর্তাও প্রতারণার শিকার হয়ে তার বিরুদ্ধে জিডি করেছেন। প্রতারণার মামলায় ঐ বিদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে গত ২২ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করে ঢাকার সিএমএম আদালত। অপর এক ভুক্তভোগীর করা সিআর মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।