সিলেটের বিশ্বনাথে আট দিন আগে প্রতিপক্ষের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৭)। তার বাবা আজও জানেন না ছেলের মৃত্যুর খবর। তিনিও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
হতভাগা ওই পিতা হচ্ছেন উপজেলার চৈতননগর গ্রামের মানিক মিয়া (৫২)। তিনি হাসপাতালের বেডে শুয়ে ছেলে কেমন আছে জানতে চাইলে বলা হচ্ছে সে আইসিইউতে রয়েছে। এমন মিথ্যা সান্ত্বনা দিয়ে বাবা মানিক মিয়াকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন পরিবারের লোকজন।
তার মাথায় গুলির তিনটি স্প্লিন্টার রয়েছে বলে জানিয়েছেন চাচাতো ভাই মামলার বাদী ইব্রাহিম আহমদ সিজিল (৪০)।
তিনি আরও জানান, গুলির একটি স্প্লিন্টার মাথার মগজের সঙ্গে রয়েছে। ফলে আহত মানিক মিয়াও রয়েছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়।
তিনি জানান, মাথায় তিনটি গুলির স্প্লিন্টার নিয়েই ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ ছেলে সুমেল মিয়াকে বাঁচাতে কোলে করে ডাক্তারের কাছে ছুটেছিলেন তিনি। ঘটনার দিনই মারা যায় স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া। তবে আজও ছেলের মৃত্যুর খবর জানেন না বাবা।
উল্লেখ্য, গত ১ মে সড়কে মাটি কাটা নিয়ে মানিক মিয়া ও সাইফুল আলমের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। আর এ বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সাইফুল আলম ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে মারা যায় স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া ও গুরুতর আহত হন তার বাবা মানিক মিয়া।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।