আন্তর্জাতিক ডেস্ক: উত্তেজনায় টালমাটাল কোরীয় দ্বিপ। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সামরিক মহড়া শুরুর পর থেকেই ফুঁসে উঠেছে পিয়ংইয়ং।
বৃহস্পতিবার মহড়া বাড়ানোর ঘোষণায় যেন আগুনে ঘি ঢালল। একেবারে ‘উন্মাদ’ হয়ে গেছে উত্তর কোরিয়া। রাগেক্ষোভে সারা রাত ধরে গুলি ছুড়েছে জাপান সাগরে।
কিন্তু এতেও শান্ত হননি কিম জং উন। সকাল হতেই শুরু করলেন যুদ্ধবিমানের টহল। একট-দুটা নয়-টানা ৪ ঘণ্টা ধরে একসঙ্গে ১৮০টি যুদ্ধবিমানের টহল।
থেমে থাকেনি দক্ষিণ কোরিয়াও। বুধবার ইতিহাসে প্রথমবার একদিনে ২৩টি মিসাইল ছুড়ে উত্তর কোরিয়া। পরদিন জাপানকে লক্ষ্য করে ছোড়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
পরে ৮০টির বেশি গোলাবারুদে সারা রাত আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে জাপান সাগরে। শুক্রবার সকাল থেকেই দুই দেশের সামরিক সীমানার উত্তর অংশে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ১৮০টি যুদ্ধবিমানের টহল দেয়। জবাবে দক্ষিণও ৮০টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে সীমান্তে।
এক বিবৃতিতে সিউল সেনাবাহিনী জানায়, উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার মিলিটারি ডিমারকেশন লাইনের (এমডিএল) ২০ কিলোমিটার দূরে পিয়ংইয়ং যুদ্ধবিমান উড়িয়েছে।
পালটা পদক্ষেপে ৮০টি উড়োজাহাজ উড়িয়েছে সিউল। এর মধ্যে এফ-৩৫-এ যুদ্ধবিমানও আছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রায় ২৪০টি বিমানের মহড়া অব্যাহত আছে।
উত্তর কোরিয়া রাতারাতি সামুদ্রিক বাফার জোনে একটি আর্টিলারি ব্যারেজ নিক্ষেপ করেছে, যা দুই কোরিয়ার মধ্যে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত চুক্তির সরাসরি লঙ্ঘন বলেছে দক্ষিণের সেনাবাহিনী।
দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র পাঁচদিনের যৌথ মহড়া শুক্রবার শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় তারা এটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একদিন বাড়িয়ে মহড়াটি আজ শনিবার শেষ হবে।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাডা বলেছেন, রাতভর উত্তর কোরিয়া ৮০টির বেশি গোলাবারুদ সাগরে নিক্ষেপের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রও ছুড়েছে পিয়ংইয়ং। এর মধ্যে জাপানের ওপর দিয়েও একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের দ্বীপপুঞ্জ পার হয়নি।
জাপান সাগরের ওপর দিয়ে অদৃশ্য হয়ে গেছে। এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলোর মধ্যে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) ছিল।
যদিও সেটি শেষ পর্যন্ত জাপানের আকাশসীমায় ঢুকতে ব্যর্থ হয়। প্রসঙ্গত, সপ্তাহের শুরুতেই উত্তর কোরিয়া সতর্ক করেছিল, এই অঞ্চলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়া হলে তারাও বসে থাকবে না। শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া জানানোর হুমকি দিয়েছিল সেই সময়ই।
একঘেয়েমি কাটাতে গৃহশিক্ষক চাষ করলেন বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক গাছ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।