জুমবাংলা ডেস্ক : গৃহকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীদের ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৪ অক্টোবর) ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মাহফুজা চৌধুরী পারভীন হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার আগে এসব নির্দেশা দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।
মাহফুজা চৌধুরী হত্যা মামলায় দুই গৃহকর্মী রিতা আক্তার ওরফে স্বপ্না ও রুমা ওরফে রেশমাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, ‘গৃহকর্মী মোসাম্মৎ রেশমা আক্তার ওরফে রুমা ও রিতা আক্তার ওরফে স্বপনার মতো আর কেউ যেন ভুল পথে অগ্রসর হতে না পারে, সেজন্য বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রীকে সতর্ক হতে হবে।’
আদালতে ছয়টি নির্দেশনা হলো—
১. গৃহকর্মী নিয়োগের তারিখ থেকে ৯০ দিন পর্যন্ত তাকে সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন, যাতে তারা বাসার মূল্যবান মালামাল চুরি করে পালিয়ে যেতে না পারে। গৃহকর্মী কোনো অন্যায় কাজ করলে তাকে আঘাত বা মারধর না করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায়/সমাজসেবা অফিসারকে অবগত করবেন।
২. গৃহকর্মী রাখার ক্ষেত্রে অবশ্যই তার বিস্তারিত তথ্য নেওয়া উচিত। গৃহকর্মীর ছবি ও জীবনবৃত্তান্ত নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানায় এসবের একটি করে কপি জমা দিতে হবে।
৩. বাসার মূল গেটে সিসি ক্যামেরা না থাকলে অবিলম্বে তা স্থাপন করতে হবে।
৪. কোনো গৃহকর্মী যদি অন্য কোনো গৃহকর্মীকে কোনো বাসায় কাজ দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট থানায় ওই গৃহকর্মীরও নাম-ঠিকানা অবগত করতে হবে।
৫. গৃহকর্মী সরবরাহ প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট থানাকে ওই কোম্পানির কার্যক্রম বিষয়ে অবগত করতে হবে। লাইসেন্স না থাকলে তার কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
৬. গৃহকর্মী সরবরাহ প্রতিষ্ঠানকে গৃহকর্মীর ছবি ও জীবনবৃত্তান্ত সংশ্লিষ্ট থানায় অবশ্যই জমা দিতে হবে।
রাজধানীসহ অন্যান্য এলাকার বাসিন্দাদের এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি বলে পর্যবেক্ষণে বলেছেন বিচারক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।