জুমবাংলা ডেস্ক : মাওলানা রুহুল আমিন শাহার (৩৫) নামে এক ইমামের বিরুদ্ধে গৃহপরিচারিকাকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পরে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ইমামের সহকর্মী মুয়াজ্জিনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে আত্মগোপনে থাকায় প্রধান অভিযুক্ত ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদের ইমাম রুহুল আমিন শাহারকে গ্রেফতার করা যায়নি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মাওলানা আরিফ উদ্দিনের ছেলে মাহফুজ বিন আরিফ (১৯) ও বিশ্বনাথ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মখদ্দছ আলী (৬৩)। মামলার প্রধান অভিযুক্ত রুহুল আমিন শাহার সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে। ঘটনার পর থেকেই তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এ ঘটনায় সাতজনকে এজাহারভুক্ত ও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ওই কিশোরীর বড় বোন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, হতদরিদ্র পরিবারের ওই কিশোরী প্রায় দুইবছর ধরে নিজ গ্রামের আবদুশ শহীদের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছে। ওই বাড়িতেই পনের বছর ধরে লজিং থাকেন ইসলামপুর নতুন জামে মসজিদের ইমাম রুহুল আমিন শাহার। বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকেন অভিযুক্ত ইমাম। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে একা পেয়ে কিশোরীকে জোর করে তার কক্ষে নিয়ে যান ইমাম শাহার। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন। কিশোরীর চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন তাকে ইমামের কক্ষ থেকে উদ্ধার করেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ইমাম রুহুল আমিন শাহার ওই কিশোরীকে এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ করেন। গত মঙ্গলবারের ধর্ষণের ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে সেটি ধামাচাপা দিতে অপতৎপরতা চালায় একই মসজিদের মুয়াজ্জিনসহ একটি চক্র।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম মুসা বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামিকে আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতাসহ অন্য আসামিদেরকে গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।