Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home গোপন ক্যামেরার শিকার নারীদের যেভাবে লড়াই করতে হচ্ছে
    অপরাধ-দুর্নীতি আন্তর্জাতিক

    গোপন ক্যামেরার শিকার নারীদের যেভাবে লড়াই করতে হচ্ছে

    Mohammad Al AminJune 17, 20219 Mins Read
    গোপন ক্যামেরা অপরাধের প্রতিবাদে সমাবেশ
    Advertisement

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ কোরিয়ার একজন নারী কিয়াং-মি (আসল নাম নয়) তার ছেলে-বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে তারা যখন যৌন সম্পর্ক করছিলেন তখন তার বন্ধু গোপনে সেটা ভিডিও করেছে। তার বন্ধু দেশটির অত্যন্ত জনপ্রিয় সঙ্গীত কে-পপ তারকা। খবর বিবিসি বাংলার।

    কিয়াং-মি এই অভিযোগ করার পর অনলাইনে ও সোশাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে ব্যাঙ্গ বিদ্রূপ, হাসি ঠাট্টা করা হয়েছে। এমনকি পুলিশ ও সরকারি কৌঁসুলিরা তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।

    এই নারী বিবিসিকে বলেছেন, ডিজিটাল যৌন অপরাধের শিকার হলেও তার কথা শোনার মতো কেউ ছিল না।

    তিনি বলেন, আমি তখন স্কুলে পড়ি, বয়স খুবই কম এবং খুব নিঃসঙ্গ ছিলাম। আমার পাশে এসে দাঁড়ানোর মতো কেউ ছিল না।

    তিনি বলেন, সত্যিই আমি মরে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু পারিনি। আমি যদি মরে যেতাম জং জুন-ইয়াং-এর ব্যাপারে সত্য কথাটা কেউ জানতে পারতো না।

    এক টিভি শোর মাধ্যমে প্রচুর খ্যাতি অর্জন করেন জং জুন-ইয়াং। পূর্ব এশিয়া জুড়েই তার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত।

    কিয়াং-মি বলছেন, যৌন সম্পর্কের সময় অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ করার আগ পর্যন্ত জং জুন-ইয়াংকে তার কাছে বেশ যত্নবান এবং সুবিবেচক ছেলে বলেই মনে হতো।

    এই ঘটনার পর তিনি ২০১৬ সালের আগস্টে প্রথমে পুলিশের কাছে ছুটে যান কিন্তু পুলিশ তার বন্ধুর ফোনটি সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনি মামলাটি তুলে নেন।

    তিনি জানতেন তার বন্ধুর মতো সুপরিচিত একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে খুবই কঠিন একটি কাজ। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তের বদলে অভিযোগকারীর সাথে যে ধরনের আচরণ করা হয়েছে তা তিনি কখনোই আশা করেননি।

    “পুলিশ অফিসার আমাকে রিপোর্ট করতে না করলেন। তিনি বললেন, একজন জনপ্রিয় ও পরিচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা কঠিন। এরপর সরকারি কৌঁসুলি আমার বন্ধুকে নয়, বরং আমাকেই ডেকে পাঠালেন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তারা আমাকে বলতে লাগলো যে আমি পছন্দ করি বলেই সে ভিডিও করেছে।”

    তিনি বলেন, আমাকে অপমান করা হয়েছে, ভয় দেখানো হয়েছে। আমি ভাবতে লাগলাম যে আমি কি তাহলে এক নিষ্পাপ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম!

    এই ঘটনার তিন বছর পর জনপ্রিয় ওই টিভি ব্যক্তিত্বের আরও কিছু সত্য কাহিনী একজন বিচারকের সামনে তুলে ধরা হলো।

    গোপন সূত্র থেকে পুলিশ তার ফোনের কিছু ভিডিওর কথা জানতে পারে ২০১৯ সালে। এর পরে তারা তার ফোন জব্দ করে দেখে যে সে ১২ জন নারীর ছবি গোপনে ভিডিও করেছে এবং সেগুলো সে তার অন্যান্য সেলিব্রেটি বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাটরুমে শেয়ার করেছে।

    এর পর তার পাঁচ বছরের জেল হয়েছে।

    পুলিশের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানিয়েছেন, কিয়াং-মির অভিযোগের তদন্তে যেসব পুলিশ জড়িত ছিলেন তাদের ব্যাপারেও এখন অনুসন্ধান চলছে।

    “ঘৃণাসূচক মন্তব্য নারীকে মেরে ফেলতে পারে”

    জং জুন ইয়াং জেলে যাওয়ার পর কিয়াং-মি কিছু সাহায্য সহযোগিতা পেয়েছেন, কিন্তু ২০১৬ সালে তিনি যখন তার বন্ধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়েছিলেন তখন অল্প কিছু লোক তাকে বিশ্বাস করেছিল।

    তাকে অনলাইনে হয়রানি করা হয়েছে এবং তার বন্ধুরা তেমন একটা পাশেও ছিল না।

    কিয়াং-মি বলেন, আমার বন্ধুরা বলেছিল আমি নাকি জং-এর জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছি। আমি কতোটা ভুগেছি সেটা তাদের কাছে কোন বিষয় নয়। মিডিয়াগুলোও সারাদিন আমাকে নিয়ে কথা বলেছে।

    তিনি বলেন, সারা দেশে আমাকে নিয়ে কথা হচ্ছিল। কেউ আমাকে রক্ষা করতে আসেনি।”

    কিয়াং মি বলেন, যিনি অপরাধের শিকার হয়েছেন তাকেই দোষ দেওয়া হয়েছে যা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর ছিল।

    তিনি বলেন, এধরনের ঘৃণাসূচক মন্তব্য নারীকে মেরে ফেলতে পারে।

    দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিয়াং মি’র এই অভিজ্ঞতা দক্ষিণ কোরিয়াতে অভিনব কোন ঘটনা নয়।

    এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি সমীক্ষা চালিয়েছে এবং তারা দেখেছে, যিনি অপরাধের শিকার হয়েছেন বিচার চাইতে গেলে তাকে অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হয়।

    সারা বিশ্বেই ডিজিটাল যৌন অপরাধের ঘটনা বাড়ছে। এর একটা বড় অংশ হচ্ছে পুরুষরা গোপনে নারীদের ভিডিও করে সেটি অনলাইনে ছড়িয়ে দিচ্ছে।

    প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে ক্যামেরার আকৃতি এখন অনেক ছোট হয়ে গেছে। অনেক সময় এটি আকারে শার্টের একটি বোতামের সমান। পাবলিক টয়লেট থেকে শুরু করে, হোটেল রুম এবং কাপড় বদলানোর ঘরেও এই ক্যামেরা সবার অজান্তে পেতে রাখা কঠিন কিছু নয়।

    দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্রুত গতির ইন্টারনেটের কারণে এসব ভিডিও খুব দ্রুত ডাউনলোড ও শেয়ার করা যায়। কখনও কখনও এসব অনলাইনে বিক্রিও করা হয়।

    দক্ষিণ কোরিয়ায় ২০১৩ থেকে ২০১৮ – এই পাঁচ বছরে গোপন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও ধারণ করার ৩০ হাজারেরও বেশি ঘটনা পুলিশের কাছে রিপোর্ট করা হয়েছে।

    অপরাধের শিকার হয়েছেন এরকম যাদের আমরা সাক্ষাৎকার নিয়েছি তারা বলেছেন যে পুলিশের সঙ্গে তাদের ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছে। আর এটি বলেছেন হেদার বার, যিনি ওই সমীক্ষার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

    তিনি বলেন, প্রায়শই তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে, কখনও কখনও বার বার পুলিশের কাছে গেলেও একই কাজ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, তাদেরকে প্রকাশ্যে আরও লোকজনের সামনে খুব স্পর্শকাতর বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা, তারা বলেছে সব তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা তাদের কাজ, এক অফিসারের কাছ থেকে আরেক অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে, মামলা না করার জন্য বা তুলে নেওয়ার জন্য পুলিশ ভয়ভীতি দেখিয়েছে এবং সেরকম না করলে পাল্টাই তাকেই মানহানির অভিযোগে বিচারের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

    “আমরা এমনও শুনেছি যে তথ্যপ্রমাণের কথা বলে পুলিশ ভিকটিমের একান্ত ব্যক্তিগত ছবি তুলেছে এবং সেই ছবি থানার অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করে তা নিয়ে হাসাহাসিও করেছে।”

    “অপরাধের শিকার একজন মানুষ যখন এরকম এক আচরণের ভেতর দিয়ে যায় এখন তার জীবনে এ চেয়ে খারাপ সময় আর কী হতে পারে!”

    এসব অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য বিবিসি দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে একজন মুখপাত্র লিখিত একটি বিবৃতি সরবরাহ করেছেন, যাতে বলা হয়েছে যে তারা এধরনের ঘটনা মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন।

    তারা জানিয়েছে যে দেশের প্রত্যেক শহর ও প্রদেশে একটি করে সাইবার যৌন অপরাধ তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে।

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অভিযোগের তদন্ত এবং ভিকটিমকে সুরক্ষা ও সহযোগিতা দেওয়ার বিষয়ে আমরা বহু রকমের পদক্ষেপ নিচ্ছি।

    পুলিশ বাহিনী তাদের সদস্যদের এসব বিষয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে শিক্ষিত করে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ভিকটিমকে একই লিঙ্গের তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওয়া হবে যাতে তারা অস্বস্তি বোধ না করেন। একই সাথে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা দেওয়ার জন্য কিছু কেন্দ্র গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

    “অস্ত্র ছাড়াও মেরে ফেলা যায়”

    হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অনলাইনে ৫০০ জন ভিকটিমের ওপর সমীক্ষাটি চালিয়েছে।

    তারা দেখেছে, এধরনের অপরাধের শিকার হয়ে ভিকটিমের মনের অবস্থা এরকম হয় যে তিনি বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। কখনও কখনও সেটা আত্মহত্যা পর্যন্তও গড়াতে পারে।

    আমি এবং আমার দলও গত চার বছর ধরে গোপন ক্যামেরার এরকম কিছু ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে রয়েছেন আত্মহত্যা করা একটি মেয়ের পিতা মাতাও।

    ওই মেয়েটি যে অফিসে কাজ করতেন সেখানে কাপড় বদলানোর ঘরে গোপন ক্যামেরা বসিয়ে তার এক সহকর্মী ভিডিও ধারণ করার পর তিনি আত্মহত্যা করেন।

    তিনি মনে করেছিলেন এই নির্যাতনের ঘটনায় তিনি যে লজ্জার মুখে পড়েছেন সেটা থেকে তিনি কখনও বের হয়ে আসতে পারবেন না।

    কোন অস্ত্র ব্যবহার না করেও আপনি একজনকে মেরে ফেলতে পারেন, মেয়েটির পিতা ২০১৯ সালে আমাকে একথাটি বলেছিলেন।

    তিনি বলেন, যে ক্ষতি হয় সেটার ওজন হয়তো সবার বেলায় সমান, কিন্তু এর যে প্রভাব সেটা একেক ব্যক্তির ওপর একেক রকম। কেউ কেউ হয়তো এর ভেতর থেকে বের হয়ে আসতে পারেন, আমার মেয়ের মতো অন্যরা হয়তো বের হতে পারে না।

    কিয়াং-মি বলছেন, যারা ডিজিটাল যৌন অপরাধের শিকার হন তাদের ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়ার সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। ভিকটিমরা তো নিচু মানের মানুষ নয় যে তার সঙ্গে আপনি অসদাচরণ করতে পারেন, আবার বোকা হওয়ার কারণেও যে তারা এই অপরাধের শিকার হয়েছে তাও নয়। তারা ভাগ্যবান নয় বলেই অপরাধের শিকার। আপনি ভাগ্যবান না হলে আপনিও কিন্তু ভিকটিম হতে পারেন।

    ওই ঘটনার পর কিয়াং-মি স্কুল ছেড়ে দেন। মানসিক চিকিৎসকের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা নেন। শহর ছেড়ে একটি গ্রামে চলে যান যেখানে তাকে কেউ চেনে না। সেখানে তিনি বই পড়ে সময় কাটাতে থাকেন।

    তিনি বলেন, হাজার হাজার বই পড়তাম আর ভাবতাম পৃথিবীটা বদলাতে হবে। যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন এরকম লোকজনের সঙ্গে কথা বললেও আমার কিছুটা ভাল লাগতো। সত্যটা একদিন বের হয়ে আসবে এবং সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে- এই আশায় আমি আমার যন্ত্রণা সহ্য করে নিয়েছি।

    রক্ষণশীল সমাজ

    দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সোল চাকচিক্যময় হলেও দেশটি এখনও বেশি রক্ষণশীল।

    দেশের অনেক জায়গাতেই কোনও নারী হয়রানির শিকার হলে সমাজ তাকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করে না। বরং নারীকেই নির্দিষ্ট কিছু বিষয় মেনে চলতে হয়।

    কেউ কেউ তো ডিজিটাল যৌন অপরাধের ভিকটিমকে ‘নোংরা’ বলেও মনে করেন।

    আমি ২০১৮ সালে এক নারীর সাক্ষাৎকার নিয়েছি যার ছেলে-বন্ধু ওই নারীর বেডরুমে ছোট্ট একটি ক্যামেরা গোপনে রেখে দিয়েছিল। তিনি বলেছেন, এই ঘটনা যখন তিনি তার পিতামাতাকে বলেছেন, তখন তার মা এজন্য তাকেই “উত্তেজক কাপড়” পরার জন্য দোষারোপ করেছেন।

    দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে। তবে খুব ধীর গতিতে।

    বিশেষ করে অল্প বয়সী মেয়েরা এখন উপলব্ধি করতে পারছে যে তাদের কথা বলতে হবে।

    গোপন ক্যামেরা দিয়ে সংগঠিত অপরাধের বিরুদ্ধে বড় ধরনের অভিযান চালানোর দাবীতে ২০১৮ সালে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। এই আন্দোলনের চাপে কিছু আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে অপরাধীর সাজা এখনও খুব কমই রয়ে গেছে।

    হেদার বার বলেন, ভিকটিম এবং বিশেষজ্ঞ যার সঙ্গেই আমরা কথা বলেছি তারা সবাই লঘু শাস্তির ব্যাপারে হতাশার কথা জানিয়েছেন এবং আমরাও দেখেছি যে তারা ঠিকই বলেছে। ২০২০ সালে যারা অনুমতি না নিয়ে ভিডিও করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, তাদের ৭৯%কে স্থগিত সাজা, জরিমানা অথবা দুটোই করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, কারো অনুমতি না নিয়ে ভিডিও ধারণ এবং শেয়ার করলে যৌন অপরাধ আইনে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে, এটাই সর্বোচ্চ সাজা, ন্যূনতম সাজা বলে কিছু উল্লেখ নেই, এবং এটা পরিষ্কার ভিকটিমরা যে ধরনের ক্ষতির শিকার হয়েছেন, যে সাজা দেওয়া হচ্ছে সেটা তার তুলনায় খুবই কম।

    বর্তমানে যেভাবে সাজা দেওয়া হচ্ছে তা যথাযথ হচ্ছে কীনা এবং ডিজিটাল যৌন অপরাধের ভিকটিমকে কিভাবে সাহায্য করা যায়- এসব খতিয়ে দেখতে তিনি একটি কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

    এর মধ্যে রয়েছে আদালতের কাছে ভিকটিমের ক্ষতিপূরণ দাবি। এই কাজটি এখন তারা করতে পারেন না।

    ভিকটিমরা যাতে অনলাইনে হয়রানির শিকার না হন- সেজন্য তাদেরকে আইনি সুরক্ষা দেওয়ার জন্য লড়ছেন কিয়াং-মি।

    তিনি বলেন, কোরিয়ার সমাজকে এখন শুধু ভিকটিমের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনলেই হবে না, এমন একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে যাতে ভিকটিমকে আইনগত সুরক্ষা দেওয়া যায়।

    কোরিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় বিবিসিকে বলেছে, ভিকটিমের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে সাজার নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে এবং এবছরের জানুয়ারি থেকে সেটা কার্যকর রয়েছে।

    হেদার বার বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার নারী ও মেয়েদের জন্য এটা সত্যিই এক জরুরি বিষয়। ডিজিটাল যৌন অপরাধ নারীর জীবনের ওপর প্রভাব ফেলছে। পরিবহনে চলার সময়, টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে, কী ধরনের পোশাক পরছে, এবং কাকে তারা বিশ্বাস করছে- এসব ব্যাপারে তারা কী ভাবছে সেটাও খুব জরুরি।

    তিনি বলেন, এধরনের অপরাধ ঠেকানোর পাশাপাশি এসব অপরাধের বিচার এবং ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে আরও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    গ্রেপ্তার

    অস্ত্রধারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ : বার্তা ফাঁসকারী পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

    August 18, 2025
    অপু

    ধানমন্ডি থেকে সাবেক এমপি অপু গ্রেফতার

    August 18, 2025
    নিরাপত্তা নিশ্চয়তা

    ইউক্রেনের জন্য ‘নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দিতে রাজি পুতিন: মার্কিন দূত

    August 18, 2025
    সর্বশেষ খবর
    strom

    সন্ধ্যার মধ্যে ৭ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

    Web Series

    বিনোদন নির্লজ্জের চূড়ান্ত সীমা পৌছাল এই ওয়েব সিরিজ, ভুলেও বাচ্চাদের সামনে দেখবেন না

    pakistani-girl

    বিয়ের পর ছেলেদের ছোট হোক বা বড় মেয়েদের নিতেই হয়, কী সেটা

    War 2

    War 2 Box Office Day 4 & 5: Hrithik Roshan and NTR Jr. Film Sees Sunday Surge, Monday Dip

    Bangladeshi

    কুয়েতে মদ তৈরির ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি জড়িত নয় : দূতাবাস

    Coolie Movie

    ‘Coolie’ Box Office Collection: Rajinikanth’s Film Crosses ₹300 Cr in 4 Days, Targets ₹600 Cr Break-Even

    Kai Cenat Fortnite Icon Series Skin Reveal Confirmed

    Kai Cenat Fortnite Skin Leak: Icon Series Reveal Date Confirmed by Streamer

    umamusume smart fridge

    Gaming on Ice: Umamusume Fan Trains Horse Girls on Samsung Smart Fridge, Claims Luck Boost

    margot robbie movies

    Top 10 Must-Watch Margot Robbie Movies: From Barbie to Harley Quinn

    Owen Cooper Discusses Challenging 'Adolescence' Scene Filming

    Owen Cooper: Youngest Emmy Nominee Reflects on ‘Adolescence’ Impact and Future Dreams

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.