আবারও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের ওপর খড়গহস্ত হলো ট্রাম্প প্রশাসন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) প্রায় আকস্মিকভাবেই এক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানসহ দুই জ্যেষ্ঠ সামরিক কমান্ডারকে বরখাস্ত করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তবে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির (ডিআইএ) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেফরি ক্রুজকে বরখাস্ত করার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
অবশ্য ক্রুজকে দিয়েই সেদিন হেগসেথের বরখাস্ত অভিযান শেষ হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, সংরক্ষিত নৌ-বাহিনীর (ন্যাভাল রিজার্ভ) প্রধান এবং নৌবাহিনীর বিশেষ যুদ্ধ নেতৃত্বের (ন্যাভাল স্পেশাল ওয়্যারফেয়ার কমান্ড) কমান্ডারকেও অপসারণ করা হয়েছে।
তিন কর্মকর্তাই দাবি করেছেন, বরখাস্তের কারণ নিয়ে তারা অবগত নন।
তবে ক্রুজকে সরিয়ে দেওয়া হয় সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া ডিআইএ’র এক প্রাথমিক প্রতিবেদনের পর। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২২ জুন ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলায় তেহরানের কর্মসূচি মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে, যেখানে সেগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংসের দাবি করেছিলেন ট্রাম্প।
ফাঁস হওয়া এই প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষুব্ধ হন ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজ একে সম্পূর্ণ ভুল খবর বলে সমালোচনা করে। আর সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ প্রতিবেদন প্রকাশকারী সংবাদমাধ্যমগুলোকে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগ তুলে কঠোর সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির সহ-সভাপতি সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেন, আরও একজন জ্যেষ্ঠ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা ট্রাম্প প্রশাসনের ঝুঁকিপূর্ণ একটি অভ্যাসের প্রতিফলন। তারা গোয়েন্দাবৃত্তিকে জাতীয় নিরাপত্তার পরিবর্তে আনুগত্য যাচাইয়ের অস্ত্র হিসেবে দেখছে।
এটি ট্রাম্প প্রশাসনের সেই প্রচেষ্টার অংশ, যার মাধ্যমে বর্তমান ও সাবেক সামরিক, গোয়েন্দা ও আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, যাদের অবস্থান ট্রাম্পের মতের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে হয়েছে।
এর আগে এপ্রিলে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) পরিচালক জেনারেল টিমোথি হফকে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাম্প। সে সময় জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ থেকে এক ডজনেরও বেশি কর্মীকে সরানো হয়েছিল।
জৈন্তাপুর ও লালাখালে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধে বিজিবির কঠোর অবস্থান
ফেব্রুয়ারিতে সেনা নেতৃত্বে রদবদল এনেছিলেন হেগসেথ। তিনি মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল সি কিউ ব্রাউনসহ আরও পাঁচজন অ্যাডমিরাল ও জেনারেলকে অপসারণ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।