জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে ঈদুল আযহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও পৌরসভার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সর্ববৃহৎ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এই জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. শামসুল হক কাসেমী।
জামাতে নামাজ আদায় করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলালসহ মুসল্লিরা। এই ঈদগাহের জামাতে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারী জেলাসহ বিভিন্ন জেলার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এই বৃহত্তর ঈদের জামাতে শরীক হন।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এবারে এই মাঠে একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন ৩ লাখ মুসল্লি।
ঈদের নামাজ শেষে তাৎক্ষণিক বক্তব্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেন, এশিয়ার এই সর্ববৃহৎ ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ কাজে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে নির্মাণ কাজে সহায়তা করেছেন।
এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২২ একর জায়গায় উপর এই বিশাল ঈদগাহ মাঠ একটি নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। দেশের সর্বাধিক সংখ্যক মুসলিমদের অংশগ্রহণে, মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যভাবে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারছেন। তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আযহার নামাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় মহান আল্লাহর রাব্বুল আলামিনের নিকট সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এই ঈদের জামাতে অংশগ্রহণের জন্য পঞ্চগড় থেকে দিনাজপুর এবং পার্বতীপুর থেকে দিনাজপুরগামী দু’টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই সব এলাকার মুসল্লিগণ এই বিশেষ ট্রেনে এসে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ শেষে মুসল্লিগণ পুনরায় একই ট্রেন তাদের নিজ গন্তব্যস্থলে ফিরে গেছেন।
ঈদগাহ মাঠে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মত।
পুলিশ সুপারসহ ইফতেখার আহমেদ বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, এশিয়ার সর্ববৃহ এই ঈদগাহ ময়দানে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের সর্বাধিক সংখ্যক মুসলি তাদের ঈদের নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা প্রত্যেকটি মুসল্লিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিয়েছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।