নামটা ‘এল ক্লাসিকো’। খেলাটাও হলো ক্লাসিকাল। বাংলায় বলতে গেলে সর্বোচ্চ মানের। রিয়াল মাদ্রিদের দুই দফায় পিছিয়ে পড়ে কামব্যাক, বার্সেলোনার চিরায়ত টিকিটাকা ফুটবল, গোললাইন বিতর্ক, সবমিলিয়ে জাভি-অ্যানচেলত্তি আমলের শেষ ক্লাসিকো ছিল মনে রাখার মতোই। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শেষ হাসিটা যদিও হেসেছে রিয়ালই। জ্যুড বেলিংহ্যাম আরও একবার ত্রাতা হয়েছেন লস ব্লাঙ্কোসদের।
এই হারের পর আরও একটা লজ্জায় পড়তে হয়েছে বার্সেলোনাকে। দীর্ঘ ৮৮ বছর পর একই মৌসুমে তিনবার রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হারতে হয়েছে কাতালুনিয়ান ক্লাবটিকে। অবশ্য নিজেদের কিছুটা দুর্ভাগা বার্সেলোনা ভাবতেই পারে। ২৮ মিনিটে লামিনে ইয়ামালের শট রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন যেভাবে ফিরিয়েছেন, তা হয়ত এই ম্যাচের সবচেয়ে বড় বিতর্ক।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলেও আছে গোললাইন প্রযুক্তি। সেই একই প্রযুক্তি স্প্যানিশ লা-লিগায় নেই ব্যয়বহুলের অজুহাতে। ইয়ামালের ওই শট লুনিন গোললাইন পেরুবার আগেই ফিরিয়েছেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। গোল লাইন প্রযুক্তি থাকলে হয়ত সেটা বার্সার পক্ষে থাকতেও পারত। ম্যাচটাতেও বার্সা পেত কর্তৃত্বের দেখা।
ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল ব্লু-গ্রানারাই। ৬ মিনিটের মাথায় লিড পায় তারা। রাফিনিয়ার কর্নার থেকে গোল করেন ডিফেন্ডার আন্দ্রেয়াস ক্রিশ্চেনসেন। ১২ মিনিট পর ডিবক্সের ভেতর লুকাস ভাসকেজকে ফাউল করেন পাও কুবারাসি ও হোয়াও কানসেলো। সেখান থেকে পাওয়া পেনাল্টিতে রিয়ালকে সমতায় ফেরান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রথমার্ধের শেষ সময়ে দুটো পরিবর্তন আনে বার্সা। ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং উঠে যান ইনজুরির কারণে আর একইসঙ্গে উঠে যেতে হয় গোলদাতা ক্রিশ্চেনসেনকেও।
ক্রিশ্চিনসেনের বদলি হয়ে নামা ফারমিন লোপেজই বার্সাকে এনে দেন দ্বিতীয় গোল। ৬৯ মিনিটে রিয়াল গোলরক্ষক লুনিন বল ধরতে ব্যর্থ হলে রিবাউন্ডে পাওয়া বল জালে জড়ান লোপেজ। সমতায় ফিরতে রিয়াল সময়য় নিয়েছে চার মিনিট। ৭৩ মিনিটে ভলিতে গোল করেন ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ভাসকেজ। পুরো ম্যাচে রিয়ালের তিন গোলের সবকটিতেই ছিলেন এই তারকা।
ম্যাচ যখন ড্রয়ের পথে, তখনই রিয়ালের ত্রাতা হলেন জ্যুড বেলিংহ্যাম। এই মৌসুমে বহুবারই শেষ সময়ে গোল করে রিয়ালের ত্রাতা হয়েছেন তিনি। এমনকি মৌসুমের প্রথম ক্লাসিকোতে তিনিই করেছিলেন অন্তিম মুহূর্তের সেই গোল । এবারও তার ৯১ মিনিটের গোলে স্বপ্নভঙ্গ হলো বার্সার। লুকাস ভাস্কেজের ক্রস থেকে বল পেয়ে রিয়ালের জয়সূচক গোল করেন এই ইংলিশ তারকা।
ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনি মায়ের পেট থেকে জীবিত শিশু উদ্ধার!
এই ম্যাচের পর ৩২ ম্যাচে ৮১ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে রিয়াল। ৭০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় বার্সা। ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় জিরোনা। ৬ ম্যাচ নাকি থাকতে বার্সার সঙ্গে ১১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে রিয়াল। গাণিতিক হিসাব বলছে, নিজেদের বাকি ৬ ম্যাচ থেকে আর ৮ পয়েন্ট তুলে নিতে পারলেই ৩৬তম লিগ শিরোপা ঘরে তুলবে রিয়াল মাদ্রিদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।