এপ্রিল মাসে পূর্ণিমার চাঁদকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে পুরো বিশ্বজুড়ে এ গোলাপি চাঁদ দেখা গিয়েছিল। এটিকে ‘ফুল পিংক মুন’, ’ফিস মুন’, ’ব্রেকিং আইস মুন’, ’ইভিনিং মুন’ ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। গোলাপি চাঁদকে ঘিরে সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহলের শেষ নেই।
বিরলে এ চাঁদ দেখাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে অনেকে নানা ধরনের আয়োজন করে থাকে। চাঁদ যখন সূর্যের সবথেকে নিকটে থাকে তখন তা পূর্ণিমার রূপে আকাশকে আলোকিত করে। গোলাপি চাঁদ নামকরণের পেছনে নানা রহস্য রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র এর নানা অঞ্চলে বসন্তকাল এলে একটি বিশেষ ধরনের ফুল ফোটে। এ ফুলের নাম হচ্ছে মাউনটেন ফ্লক্স। এ ফুলটি দেখতে গোলাপি রঙের। ওই দেশের মানুষ এটাকে বসন্তের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে। এই ফুলের নামে এটির নামকরণ করা হয়েছে গোলাপি চাঁদ।
ধূলিকণা বা গ্যাসের কারণে চাঁদের রং ভিন্নভাবে আমাদের সামনে আসে। তাছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া বা দূষণ থাকলেই পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধার সৃষ্টি হয়। এসব আলো নিজের তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
নীল রং সবথেকে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে পারে। লাল রং এর আলো বহুদূর যেতে পারে। যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামি, নীল, হালকা নীল, রুপালি, সোনালী বা হালকা হলুদ রঙের দেখেন। বিক্ষিপ্ত হওয়ার কারণে এটি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বড় দেখাতে পারে। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা বিজ্ঞানের ঘটনাকে আলোর বিচ্ছারণ বলে আখ্যায়িত করেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানী রির্চাড সর্বপ্রথম ’সুপার মুন’ শব্দটি নিয়ে আসেন। ১৯৭৯ সালে রিচার্ড এ শব্দটি প্রথমবারের মতো ব্যবহার করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।