ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান বেশ কার্যকরী। তাই তো বাঙালির ঘরোয়া রূপটানেও প্রাকৃতিক উপাদানের কদর তুঙ্গে। যারা প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের যত্ন নিতে ভালোবাসেন, তারা গোলাপ জল এবং শসার রসের উপকারিতা সম্পর্কে অবগত। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে বা পিএইচের সমতা বজায় রাখতে এই দু’টি জিনিসই প্রায় একই রকম ভাবে কাজ করে। কিন্তু এই গরমে কোন উপাদানটি ত্বকের জন্য বেশি উপকারী, আর কোন উপাদানটি কোন ধরনের ত্বকে মাখা যাবে তা বুঝে উঠতে পারেন না। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই ২ উপাদানের ব্যবহার ও উপকারিতা।
ত্বকের জন্যে উপকারী এই উপাদান: গোলাপ জল ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রাকৃতিক টোনার হিসেবেও কাজ করে। তাই নিয়মিত গোলাপ জল মাখলে ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য ঠিক থাকে। ত্বক হঠাৎই তৈলাক্ত কিংবা শুষ্ক হয়ে যায় না। এমনকী ত্বক টানটান রাখতেও সাহায্য করে। গোলাপের নির্যাসে ভিটামিন সি মেলে, যেটি আপনার ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায়। তাই নিয়মিত গোলাপ জল লাগালে ত্বকে সহজেই বয়সের ছাপ পড়ে না। এদিকে গোলাপের গুণে ত্বকের প্রদাহ থাকে নিয়ন্ত্রণে। ত্বকে জ্বালা বা অস্বস্তি হয় না। এমনকী ত্বকে প্রকট হয় না লালচে ভাব। তাই তো আপনার রূপটান রুটিনে গোলাপ জল থাকা মাস্ট।
যেভাবে ব্যবহার করবেন: মুখ পরিষ্কার করে নেওয়ার পরে একটি কটন প্যাডে পরিমাণ মতো গোলাপ জল নিন। তারপরে সেটি আপনার সারা মুখে বোলান। নিয়মিত এই স্কিনকেয়ার রুটিন ফলো করলেই মিলবে উপকার।
শসার রসের জুড়ি মেলা ভার: গরমের দিনে ঘরোয়া রূপটানে শসার রস সত্যিই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এতে উপস্থিত কুলিং এজেন্ট মুহূর্তেই আপনার ত্বককে তরতাজা করে। আর ত্বকের জ্বালা পোড়া কমিয়ে শীতলভাব অটুট রাখে। শসায় উপস্থিত জলের পরিমাণ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে একাই একশো।
কমাবে প্রদাহ: এটিতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা আপনার ত্বকের প্রদাহ কমায়। তাই নিয়মিত শসা লাগালে প্রখর গরমেও ত্বকের জ্বালাপোড়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এমনকী ত্বকের টেক্সচারও উন্নত হবে। তাছাড়া শসা ত্বকের জন্যে এতটাই উপকারী যে, সংবেদনশীল কিংবা শুষ্ক ত্বকেও নির্ভয়ে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি ব্যবহার করতে পারেন।
শসা নাকি গোলাপ জল, কোনটি ব্যবহার করবেন:
শসা এবং গোলাপ জল দুটোই ত্বকের জন্যে উপকারী। শুধু সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা জরুরি। অর্থাৎ আপনার ত্বকের সমস্যা বুঝে এই ২ প্রাকৃতিক উপাদান মুখে লাগালেই মিলবে চটজলদি উপকার।
আপনার ত্বকে যদি প্রদাহ বাড়ে, তাহলে শসার রস ব্যবহার করে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাছাড়া এটির কুলিং এজেন্ট গরমে ত্বককে সুস্থ রাখবে। জ্বালা-পোড়া এবং চুলকানি কাছে ঘেঁষতে দেবে না।
গোলাপ জল যেমন আপনার ত্বককে টোনড করবে, তেমনই ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করবে।
দুই উপাদানের উপকারিতা এবং ব্যবহারে সূক্ষ্ম বিভাজন রেখা রয়েছে। সেটিতে গুরুত্ব দিন। আপনার ত্বকের প্রকৃতি এবং সমস্যা বুঝে প্রাকৃতিক উপাদান দুটি ব্যবহার করুন। তাহলেই মিলবে উপকার।
যে ধরনের ত্বকের জন্য যেটি ভালো:
১) খসখসে, শুষ্ক ত্বকের জন্য গোলাপ জল ভালো। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতেও এটি খুব কাজের। গোলাপ জল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ, তাই পেলবতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ত্বকের তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও গোলাপ জল মাখা যায়।
২) স্পর্শকাতর, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো শসার রস। মুখ বা চোখের তলায় ফোলা ভাব দূর করার পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এই তরলটি। ওপেস পোর্সের সমস্যা থাকলেও শসার রস মাখা যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।