জুমবাংলা ডেস্ক: সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শৃঙ্খলা, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে নিজেদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে শনিবার আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। খবর ইউএনবি’র।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন।’
রাষ্ট্রপতি রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্টে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের (এনডিসি) পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সশস্ত্র বাহিনীকে জাতির অহংকার ও গর্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা ও বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।
সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কর্মপরিকল্পনা সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে।
বক্তব্যের শুরুতে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করার পাশাপাশি যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই শহীদ বীরযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী সাড়ম্বরে উদযাপনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সব ইউনিট বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে।
‘২০২০ ও ২০২১ সাল আমাদের জাতীয় জীবনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বছর। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হবে,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী, সচিব, সিনিয়র সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির সাবেক কমান্ড্যান্ট, অনুষদ সদস্য ও বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণকারী প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেই সাথে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল শেখ মামুন খালেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।