যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন যে, ছায়াপথের মধ্যে সংঘর্ষ হলে কোয়াসার অনেক বেশি শক্তি পায়। কোয়াসারকে বলা হয় মহাবিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অবজেক্ট। এটি দেখলে মনে হবে যেন ট্রিলিয়ন নক্ষত্রের মত এটি উজ্জ্বলভাবে জ্বলজ্বল করছে।
যখন ছায়াপথ তৈরি হয় সেখান থেকে কোয়াসারের উৎপত্তি ঘটে। ওই সময় তাদের কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের মত ঘটনাও ঘটে। নতুন গবেষণার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, ছায়াপথের সংঘর্ষ থেকেই কোয়াসার অবিশ্বাস্য শক্তি পেয়ে থাকে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা স্পেনের লা পালনায় আইজ্যাক নিউটন টেলিস্কোপ থেকে ডিপ ইমেইজিং মেথড ব্যবহার করে কোয়াসার সহ ৪৮টি ছায়াপথ পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরবর্তী সময়ে তারা কোয়াসার ছাড়া একশটি ছায়াপথের সাথে এটি মিলিয়ে দেখেছেন।
যখন দুইটি ছায়াপথের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে তখন গ্যালাক্সি সিস্টেমের কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের দিকে প্রচুর পরিমাণে গ্যাস ঠেলে দেওয়া হয়। ব্ল্যাকহোল সকল গ্যাস গ্রাস করে নেওয়ার আগে অনেক শক্তি বিকরণের মাধ্যমে নির্গত করে থাকে। সেখান থেকে কোয়াসারের উৎপত্তি ঘটে।
আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি আগামী পাঁচ বিলিয়ন বছরের মধ্যে অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির সাথে সংঘর্ষের সময় কোয়াসারে পরিণত হতে পারে। বেশিরভাগ গ্যালাক্সির কেন্দ্রে সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল রয়েছে।
ব্ল্যাক হোল সমস্ত গ্যাস গ্রাস করা ঠিক আগে বিকিরণের মাধ্যমে যখন শক্তি নির্গত করে সেখান থেকে কোয়াসারের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। একটি কোয়াসারের ইগনিশন সমগ্র ছায়াপথের জন্য নাটকীয় পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। বলা যায় যে, ছায়াপথ থেকে সমস্ত গ্যাস এটি বের করে দিতে পারে। এর ফলে নতুন তারা তৈরি হওয়ার সিস্টেম বাধাগ্রস্থ হবে।
মহাবিশ্বের ইতিহাসের প্রাচীন সময় নিয়ে অধ্যয়ন করার ক্ষেত্রে কোয়াসারের গবেষকদের জন্য বেশ অপরিহার্য। প্রাচীন ছায়াপথ অধ্যায়ন করার জন্য নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এটি কোয়াসারের থেকেও আলো সনাক্ত করতে সক্ষম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।