গ্যাসের দাম বাড়লে বন্ধ হতে পারে টেক্সটাইল কারখানা

টেক্সটাইল কারখানা

টেক্সটাইল কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেননা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হলে তা কারখানার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। টেক্সটাইল ব্যবসায়ীরা এ ধরনের মন্তব্য করেছেন। তারা দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বেশ অসন্তুষ্ট। টেক্সটাইল ব্যবসায়ীরা অতি দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা চাচ্ছে। ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এমনটি জানায়।

টেক্সটাইল কারখানা

বিনিয়োগের কারণে আজ টেক্সটাইল শিল্প ভালো অবস্থানে রয়েছে। দেশে কোন রাজনৈতিক সরকার না থাকার কারণে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তুলা থেকে সুতাশিল্প সবই বিনিয়োগের ফসল। যদি জ্বালানি সংকট দেখা দেয় তাহলে উৎপাদন কমে যাবে। তাছাড়া এখনো কাপড় বাহির থেকে আমদানি করতে হয়।

বস্ত্র খাতের সংগঠন বিটিএমএ বলছে, গত বছর ভারত থেকেই বৈধ পথে এসেছে ২৭০ কোটি ডলারের সুতা। তাদের দাবি নজরদারি এড়িয়ে স্থলবন্দরের মাধ্যমে আসে আরো অনেক পণ্য।  বিটিএমএ এর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘মনে করেন ভারতের চেন্নায় থেকে দুই ট্রাকে সুতা ঢাকায় আসলে সেটা কি লাভজনক হবে। এটা হাস্যকর একটা জিনিস কিন্তু এটা হচ্ছে। দুই টন করে ৫ ভাগে এলসি যায়। আসে কিন্তু প্রতি ট্রাকে দশ টন করে। ফলে এরা না দিচ্ছে ট্যাক্স না দিচ্ছে ভ্যাট। ফলে স্থানীয় শিল্প ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ৩ বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার মান হারিয়েছে ৫০ ভাগ। কিন্তু তারা ব্যবসা পরিচালনায় ব্যাংকে বাড়তি ঋণসুবিধা পাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়লে, সংকট আরো বাড়বে। শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘এখন আমরা মনে করি সরকার যদি ঘোষণায় না আসে তাহলে আমরা বিনিয়োগ করব না। আপনি হঠাৎ করে বলবেন গ্যাস ৭৫ টাকা কোনো দিনও সেটা বাস্তবসম্মত হবে না। এরপরে রাতারাতি একটার পর একটা ফ্যাক্টারি বন্ধ হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ৩৩ দেশের দেড় হাজারের বেশি স্টল নিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর আইসিসিবিতে শুরু হবে ৪ দিনের টেক্সটাইল মেশিনারি মেলা। এ সময়, এ খাতের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বিদেশিদের বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়।