জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। প্রতি দুই চুলার দাম ৯৭৫ এবং এক চুলার দাম ৯২৫ টাকা করা হয়েছে। গত ১০ বছরে এখন পর্যন্ত ৭ বারের মতো গ্যাসের দাম বাড়াল সরকার।
এমন একটা সময় গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার যেখানে ভারতের মতো দেশ গ্যাসের দাম কমিয়েছে ১০১ রুপি। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন প্রাথমিক ও মৌলিক জ্বালানি গ্যাসের দাম গড়ে ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িয়েছে।
এক অর্থবছরেই প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করা বিদ্যুৎ খাতের গ্যাসের দাম বাড়বে ৪১ শতাংশ, আর ক্যাপটিভ পাওয়ারের গ্যাসে দাম বাড়বে ৪৪ শতাংশ। দেশের কৃষক যেখানে উচ্চ উৎপাদন খরচের বিপরীতে অসহনীয় মূল্য বিপর্যয়ে পড়ছেন, সেখানে সার উৎপাদনের ব্যবহৃত গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে সর্বোচ্চ ৬৪ শতাংশ। এ কারণেই ভারতের কৃষক ধান চাষ করে লাভবান হন, আর আমাদের কৃষক হন ক্ষতিগ্রস্ত।
এছাড়াও আমাদের দেশের শিল্প খাতের গ্যাসের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৮ শতাংশ। এর আগে ২০১৫ ও ২৯১৭ সালেও গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল বিভিন্ন স্তরে। তারপরও আন্তর্জাতিক বাজারে আমদানিমূল্য কমার পরেও চুরি, সিস্টেম লস, ভর্তুকি কমছে না। মূলত, দুর্নীতিপরায়ণতা, ব্যবস্থাপনায় অদূরদর্শিতা, বিতরণে নৈরাজ্য, গ্যাস চুরি ও অবৈধ সংযোগ, সরবরাহ লাইন থেকেই অবৈধ বিতরণ, ১২ শতাংশ সিস্টেম লস, অন্যায্য মিটারিং, এলএনজি আমদানির খরচ বাড়িয়ে দেখানো, এলএনজি ও গ্যাস পাইপ লাইনের প্রকল্পে ধীরতা। এর এই দায় কেন দেশের জনগণ নেবে।
যেখানে বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম দিনে দিনে কমছে, সেখানে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান না করে বাজারের সঙ্গে সম্পর্কহীন এমন অতি উচ্চ মূল্যবৃদ্ধি পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।