কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ মনে করে যে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করার জন্য সরকারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। কোন এক বিশেষ শক্তি এর পেছনে কাজ করছে। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম দাবি করেন যে, সরকার পরিবর্তন হয়েছে। তবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আগের মতই কাজ করছে।
পেট্রোবাংলা চায় যে, শিল্প খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম যেন দেড়গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। দেড়গুণ বাড়ালে তাদের ৭৫ টাকা করে দিতে হবে। জ্বালানি বিভাগের অনুমোদন দিলেও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে বিষয়টি আসলে গণশুনানি হয়। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে তা শিল্প খাতার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
এম. শামসুল আলম বলেন, ‘বিইআরসির এই যে আয়োজন, গণশুনানী এবং কমানোর ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় পূর্বের বিইআরসির স্বরূপ উদঘাটিত হচ্ছে। অর্থাৎ বিইআরসি আগের অবস্থাতেই রয়ে গেছে। সেটাই আমাদের আতঙ্ক তৈরি করেছে। আমরা আগে বাড়িয়েছি এবং এটা এখন থামানো ফরজ হয়ে গেছে।’ ক্যাবের অভিযোগ, গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের জন্য কোনো বিশেষ শক্তি সরকারকে চাপ দিচ্ছে।
এম. শামসুল আলম বলেন, ‘এই খাতটাকে আমরা আমদানি বাজারে পরিণত করছি। সরকার সেখানে পৌরোহিত্য করছে এটাই প্রমাণ করে, এই সরকারের মেয়াদ শেষ হবে মানুষ এ আশঙ্কাও করছে। সুতরাং এই মূল্যবৃদ্ধি সরকারের করা দরকার আমি এটা বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করি কোথাও নেপথ্যে কোনো শক্তি এই সরকারকে এ কাজ করতে বাধ্য করছে এবং মানুষের মুখোমুখি করছে।’
এছাড়া, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে লুটের পরিমাণ প্রকাশের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে, এবার গ্রীষ্মে দেশে তীব্র লোডশেডিং হতে পারে বলেও আশঙ্কা ক্যাবের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।