জুমবাংলা ডেস্ক : বাসা-বাড়ি, অফিস, গ্যাস প্ল্যান্ট বা গ্যাস স্টেশনে গ্যাস লিকেজ হওয়ার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে বেজে উঠবে সতর্কতাসংকেত ‘অ্যালার্ম’। এমন সুবিধার ‘গ্যাস লিকেজ সিলেকশন অ্যান্ড এক্সিট সিস্টেম’ উদ্ভাবন করেছেন ইউসেপ এমএ মজিদ টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার খুলনায় মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতা এবং সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্ট’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত মেলায় এ উদ্ভাবন সবার নজর কেড়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, অনেক সময় বাসা বাড়িতে এবং রেস্টুরেন্টে গ্যাস লিকেজ হওয়ার কারণে মারাত্মক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এই সিস্টেম এই ভয়াবহতা থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে গ্যাস লিকেজের মাত্র ৫ সেকেন্ডের ভিতরেই গ্যাস সেন্সরের মাধ্যমে বেজে উঠবে অ্যালার্ম। এটা বেজে ওঠায় বোঝা যাবে গ্যাস লিকেজ হচ্ছে। শুধু অ্যালার্মই নয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সব ধরনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। বিকল্প উপায়ে চালু হয়ে যাবে কুলিং ফ্যান। এতে গ্যাস বাতাসে নিষ্কাশন হয়ে যাবে।এদিকে দিনে ভূমিকম্প হলে জীবন বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়া সম্ভব। এতে প্রাণহানির শঙ্কা কম থাকে। কিন্তু রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ভূমিকম্প হলে বোঝার উপায় কী? এ প্রশ্নের উত্তর মিলেছে খুলনার ইউসেপ রিজিওনাল কার্যালয়ের বিজ্ঞান মেলায়। নগরীর ইউসেপ সোনাডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থী নাদিম হোসেন এবং বিথি আক্তার উদ্ভাবন করেছেন ‘ভূমিকম্প এলার্ম’ সিস্টেম। যার ফলে রাতে ভূমিকম্প হলে অ্যালার্ম বাজবে। এতে করে বোঝা যাবে ভূমিকম্প হচ্ছে এবং দ্রুত নিরাপদ স্থানে যাওয়া যাবে।
ইন্টারনেট অফ থিংস বা আইওটি মোবাইলের একটি অ্যাপসের মাধ্যমে বাসা বা অফিসের টিভি, ফ্রিজ, লাইট, ফ্যান, পানির মিটারসহ সব ধরনের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কোনো কারণে এসব চালু করে বাসা বা অফিস থেকে বের হওয়ার পর মোবাইলের মাধ্যমে এগুলো বন্ধ করা যাবে। এছাড়া ওয়েব এনার্জির মাধ্যমে সমুদ্রের ঢেউ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সেটা ব্যবহারের মতো আরও অনেক নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন ইউসেপ মহসিন খুলনা টেকনিক্যাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।