বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : ছায়াপথ, যেখানে অসংখ্য তারা, নক্ষত্ররা জায়গা পায়। শব্দটির ইংরেজি ‘galaxy’। সেখানেই কেন্দ্রে একটি বিরাট সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোল রয়েছে, যার নাম ‘স্যাগিটেরিয়াস এ’ (Sagittarius A)। এবার সেই ব্ল্যাক হোলকে কেন্দ্র করে নতুন তথ্য এসেছে। নতুন গবেষণা অনুসারে, এটি এত দ্রুত ঘুরছে যে, তার চারপাশের বিভিন্ন স্থান-কালের পরিবর্তন ঘটছে। স্পেস-টাইম হল একটি চার-মাত্রিক ফ্যাব্রিক, যা মহাকাশে গ্রহ এবং নক্ষত্রের মতো বড় বস্তুর চারপাশে ঘোরে। পদার্থবিদদের একটি দল NASA-র চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি (NASA’s Chandra X-ray Observatory) ব্যবহার করে ব্ল্যাক হোলটি পর্যবেক্ষণ করেছে, যা পৃথিবী থেকে 26,000 আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে।
চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি কী?
চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি হল একটি মহাকাশ টেলিস্কোপ, যা মহাবিশ্বের বিশেষ করে সৌরজগতের বিভিন্ন জিনিসকে দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এমনকি এটিকে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, ব্ল্যাক হোলের চারপাশে ঘূর্ণায়মান উপাদান থেকে রেডিও তরঙ্গ এবং এক্স-রে নির্গমন পরীক্ষা করতে পারে। এটি অ্যাক্রিশন ডিস্ক নামে পরিচিত। এই পদ্ধতির সাহায্যেই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাক হোলের নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
স্থান-কালের পরিবর্তন ঘটছে…
বিজ্ঞানীদের মতে, ব্ল্যাক হোল ঘূর্ণায়মান। আর এই অবস্থাটি লেন্স থারিং এফেক্ট নামে পরিচিত। গবেষণার প্রধান লেখক এবং পেন স্টেট ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক রুথ ডালি বলেছেন, “লেন্স-থারিং এফেক্টটি ঘটে যখন একটি ব্ল্যাক হোল তার ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে স্থান-কালকে পাল্টাতে থাকে। এই ঘূর্ণনের মাধ্যমে, ‘স্যাগিটেরিয়াস এ’-এর আশেপাশে স্থান-কালের পরিবর্তন ঘটছে।” এমন হতে থাকলে, ভবিষ্য়তে কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে ছায়াপথে বিরাট বড় প্রভাব পড়তে চলেছে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।