জুমবাংলা ডেস্ক : গ্রাম অঞ্চলে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হলে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন প্রবণতা হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৯ মে) স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে এবং ইউএনডিপি ও ইউকে ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এর সহযোগিতায় আয়োজিত মেয়র’স এক্সচেঞ্জ নলেজ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন একটি চ্যালেঞ্জ। অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাতে ও সুযোগ সুবিধার জন্য মানুষের গ্রাম থেকে শহরে যাবার একটা সহজাত প্রবণতা থাকে। সারা বিশ্বেই এটা হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ আয়তনে ছোট ঘনবসতি পূর্ণ একটি দেশ হওয়ায় এত মানুষের শহরে ঠিকমতো নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ। এ ক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলে শহরের মতো সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষা, কাজের সুযোগ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রাম অঞ্চলে সুষম ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হলে অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশন প্রবণতা হ্রাস পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় সামরিক শাসনামলের শোষণ বঞ্চনায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, খাদ্য, শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই ছিল শোচনীয় অবস্থা। খাদ্য ঘাটতির অবস্থা ছিল শোচনীয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ ঘাটতি পূরণ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেবার অঙ্গীকার নিয়ে প্রতি ৬০০০ জন মানুষের জন্য গঠিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাস্থ্যসেবা ও জনগণের পুষ্টির মান হয় উন্নত। শিক্ষা খাতসহ গ্রামীণ অবকাঠামো, যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসে দৃশ্যমান উন্নয়ন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার যে প্রত্যয় ছিল, বর্তমান সরকার সে স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়ার উদাহরণ টেনে মন্ত্রী বলেন, আমাদের মতো সমসাময়িক অনেক দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছে গেছে তাদের নিরলস প্রচেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রমের কারণে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে একসঙ্গে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে এলে ২০৪১ সালের মধ্যে একটা স্মার্ট উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার, ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপ-হাই কমিশনার ম্যাট ক্যানেলসহ প্রমুখ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।