আনোয়ারা শেলী, ফেসবুক থেকে : সালটা ৯১ কি ৯২। ময়মনসিহের হালুয়াঘাটে আমার প্রকল্পের ইনকাম জেনারেশান এক্টিভিটি দেখতে গেছি। সাথে উপজাতি (গারো) মাঠ কর্মী। পর পর দুইটা উপকারভোগী বাড়ীতে দেখলাম, ষাঁড় কিনে বিক্রিযোগ্য করছে।
ফেরার পথে সেই কর্মীকে বললাম, গাভী কেনার পরামর্শ দেন না কেন, দুধ বিক্রি করে আয় করতে পারে। একটু আধটু ছেলে মেয়ের পাতেও দিতে পারে, পারিবারিক পুষ্টির কাজটাও হয়।
শুনে সে কর্মী বলে, আপা এখন কেউ গাভী নেয়ায় উৎসাহ বোধ করে না। তাইতো আমরা গ্রামের বাড়ীতে বেড়াতে গেলেও আর আগের মত গাভীর দুধ খেতে পাইনা। গ্রামেও সবাই কুট্টার দুধ খায়।
আমি আশ্চর্য হয়ে ঘুরে দাঁড়াই। কী বললেন? কুত্তার মানে আপনারা কুকুরের দুধ খান?
সঙ্গে যাওয়া আঞ্চলিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি বুঝতে পেরে হো হো করে হেসে বললেন, আদিবাসী উচ্চারণ তো! ও বলতে চেয়েছে এখন গ্রামেও কৌটার দুধের প্রচলন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।