টাঙ্গাইলের সখীপুরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা আসে ‘গ্রামে ডাকাত ঢুকেছে, সবাই সতর্ক হোন, পিপিই পরে ডাকাত ঢুকেছে’।
মসজিদের মাইক থেকে এমন ঘোষণা গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম এবং পর্যায়ক্রমে উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়ে ডাকাতির গুজব।
খবর পেয়ে সখীপুর থানা পুলিশ অতিরিক্ত জনবল নিয়ে টহল দিতে থাকে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কাটে উপজেলাবাসীর সারা রাত। কিন্তু সারা রাতে কোথাও কোনো ডাকাতের সন্ধান ও ডাকাতির চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী উপজেলা বাসাইল ও মির্জাপুরেও এমন গুজব রটেছে।
স্থানীয়রা ডাকাতির এমন গুজব ছড়ানোর বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, বারবার এমন গুজব রটানো হলে বিষয়টি ‘দুষ্ট রাখাল বালক ও বাঘ’-এর গল্পের মতো হতে পারে। এরকম ঘোষণার আগে অবশ্যই মসজিদ কর্তৃপক্ষেরও আরও দায়িত্বশীল ও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সখীপুর থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) বদিউজ্জামান বলেন, এলাকায় ডাকাত ঢোকার বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। আমরা সারা রাত টহলে ছিলাম, কিন্তু কোথাও ডাকাতির ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বার্হী অফিসার (ইউএনও) আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, কোথা থেকে এবং কারা এই গুজব তৈরি করছে, কীভাবে এই গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।