পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী মেয়েটির বাবা নেই। এলাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে মা মেয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। মা বাড়িতে না থাকার সময় রোববার যোহরের নামাজের পর প্রতিবেশি মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে আব্দুল আলী (৪০) জোর করে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আব্দুল আলী পালিয়ে যায়।
সালিশকারী তৈয়ব আলী জানান, ধর্ষনের বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার রাতে সবার সম্মতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য কয়েকজনকে নিয়ে বিষয়টি মীমাংসার অনুরোধ করলে আমরা মীমাংসা করে দিয়েছি। তিনি আরও জানান, আমরা ওই এলাকার গণ্যমান্য কয়েকজন সালিশ করি, সেখানে উভয়পক্ষের লোকজন টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য একমত হন। ঘটনাকারী আব্দুল আলী ৩-৪টি বিয়ে করেছে। অভিযুক্ত আব্দুল আলী নিজের দোষ অস্বীকার করেছে। তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সঙ্গে সাদা কাগজে ১০০ টাকার স্টাম্পে মেয়েটির ও বিচারকারীদের স্বাক্ষর রাখা হয়।
বাকপ্রতিবন্ধি যুবতীর মা জানান, আমার মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়েছে। কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভুষন রায় জানান, এ বিষয়ে কেউ আমাদের কাছে কোন অভিযোগ দেয় নি। ঘটনা জেনে ইতিমধ্যে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যদি সত্যতা পায়, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।