সামনে গ্রীষ্মকাল আসছে। এ সময় লোডশেডিং বন্ধ রেখে একটানা বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব কিনা এ ধরনের প্রশ্নের উত্তরে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন যে, লোডশেডিং একেবারে বন্ধ রাখা সম্ভব নয়।
গরমের সময় বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে থাকে। তাছাড়া সেচ কাজের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন। ঢাকায় এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন জ্বালানি উপদেষ্টা। এই আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয় ব্র্যাক সেন্টার ইনে। উপদেষ্টা আরো জানান যে, লোডশেডিং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং সে চেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।
তবে দেশের জনগণ যেন বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয় সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বরাবরের মতো এবারও গরমের সময় লোডশেডিং হবে। যদি এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখা হয় তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
গ্রীষ্মে সেচ মৌসুম ও অতিরিক্ত গরমে শীতাতপ যন্ত্রের ব্যবহারে বাড়ে বিদ্যুতের চাহিদা। গত বছর সর্বোচ্চ উৎপাদন ১৬ হাজার ৪৭৭ মেগাওয়াট থাকলেও, বেশিরভাগ সময় মিলেছে ১৫ হাজারের মধ্যে। তখন লোডশেডিং ছাড়ায় ২ হাজার মেগাওয়াট। এবার গ্রীষ্মে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হচ্ছে ১৮ হাজার মেগাওয়াট।
বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এবার গরমে লোডশেডিং ছাড়াতে পারে ৩ হাজার মেগাওয়াট। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ডিসি সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, এবার গ্রীষ্মে শহর ও গ্রামে সমান লোডশেডিং করা হবে।
তারও আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভা শেষে জ্বালানি উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, রমজানে যান্ত্রিক ত্রুটির বাইরে কোনো লোডশেডিং হবে না। তবে গ্রীষ্মে ৭০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।