জুমবাংলা ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে টিকা ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে উপজেলা জুড়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়েছে। টিকা পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছেন অসংখ্য নারী-পুরুষ। তবে বেশি ভিড় তবুও শেষ পর্যন্ত টিকা পেয়ে দারুণ খুশি তারা। আজ শনিবার (৭ আগস্ট) ৯টা থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ৭২৪৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এতে স্ব স্ব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার টিকা ক্যাম্পেইনের প্রথম দিনে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে সংশ্লিষ্ট টিকা কর্মী, জনপ্রতিনিধি, টিকা গ্রহীতা থেকে শুরু করে প্রত্যেকের মধ্যেই ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সবাই সকাল ৯টার আগেই টিকা কেন্দ্রে পৌঁছে যান। এরপর একই সময়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভা, সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা, মুরাদপুর, বাড়বকুণ্ড, বাঁশবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ি, ভাটিয়ারী ও সলিমপুর ইউনিয়নের পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রে টিকার রেজিস্ট্রেশন ও টিকাদান শুরু হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ও সোনাইছড়ি টিকা কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয়রা ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে টিকা গ্রহণ করছেন। বাঁশবাড়িয়া রহমতের পাড়ায় টিকা নিতে আসা রহিমা বেগম (৪৫) বলেন, করোনার এই সময়ে বাঁচতে হলে টিকা নিতেই হবে। তাই তিনি সকাল ৮টাতেই টিকা নিতে চলে আসেন। কিন্তু ততক্ষনে আরো বহু মানুষ টিকা নিতে চলে আসে। ভিড় বেশি হওয়ায় দুই ঘণ্টারও বেশি সময় পর টিকা নিতে সক্ষম হয়েছেন। তবুও টিকা পেয়ে খুবই খুশি তিনি। এই কেন্দ্রে টিকা নিয়েছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বৃদ্ধ মো. সেলিম (৬৫)।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে পুরুষের চেয়ে নারীদের ভিড় বেশি ছিল। তাই পুরুষ লাইনে তিনি খুব অল্প সময়ে টিকা দিয়েছেন। কিন্তু কেন্দ্রে নারীর ভিড় বেশি হওয়ায় তার স্ত্রীর টিকা নিতে অনেক দেরি হয়েছে।
এ এলাকা বাঁশবাড়িয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শওকত আলী জাহাঙ্গীর বলেন, টিকা কেন্দ্র নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ডের মাঝামাঝিতে একটি স্থান নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। আমাদের ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝামাঝিতে কোনো স্কুল ছিল না। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। আগে টিকা পেতে সকাল ৭টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে নারী-পুরুষ।
অন্যদিকে সোনাইছড়ির ঘোড়ামরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আ ম ম দিলশাদ। এসময় সোনাইছড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মুনীর আহমেদও উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, এখানেও খুব সকাল থেকে নারী-পুরুষ লাইন দিয়ে টিকা গ্রহণ করে খুব খুশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, আমরা শনিবার উদ্বোধনী দিনে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ৬ হাজার এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্রে ১২৪৪ জনসহ মোট ৭২৪৪ জনকে টিকা দিয়েছি। সর্বত্র টিকা গ্রহীতাদের ব্যাপক উৎসাহ দেখা গেছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পুরো উপজেলায় খুব উৎসবমুখর পরিবেশে টিকাদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূর্বে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা গ্রহীতা ঠিক করে ফেলায় নির্ধারিত মানুষগুলোই উপস্থিত হয়ে প্রত্যেকে টিকা নিয়ে গেছে। তাই সবাই খুশি ছিল।
![](https://inews.zoombangla.com/wp-content/uploads/2024/03/34-5.jpg)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।