জুমবাংলা ডেস্ক : সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ফের সিদ্ধান্ত বদলেছে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। আপাতত ৩০ হাজার টাকা ভাতার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তারা দাবি জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাস থেকেই ৩৫ হাজার টাকার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। অন্যথায় চিকিৎসকরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. নুরুন্নবী এ ঘোষণা দেন।
এর আগে বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আপাতত ৩০ হাজার টাকা ভাতার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল আন্দোলনরত পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল। কিন্তু আন্দোলনরত অন্যদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সেই সিদ্ধান্ত পাল্টেছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা।
ডা. নুরুন্নবী সাংবাদিকদের বলেন, ডা. সায়েদুর রহমান স্যারের আমন্ত্রণে আমরা চারজনের একটি প্রতিনিধি দল আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে ড্যাব-এনডিএফের পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক কমিটির কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় সায়েদুর রহমান স্যার জানান, সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ে আমাদের অতিরিক্ত দেওয়ার মতো কোনো টাকা নেই, তাই আপাতত আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। একইসঙ্গে তিনি আগামী জুলাই মাস থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমরা সেখান থেকে আলোচনা শেষ করে ফিরে এসেছি।
তিনি বলেন, আমরা স্যারের কাছে একটা পার্মানেন্ট সলিউশন চেয়েছি, আমাদের যেন বারবার রাস্তায় নামতে না হয়। স্যার বললেন, তোমাদের ৩৫ হাজারই দেব, সেটা জুলাই থেকে। তোমাদের দাবি আমরা মেনে নিচ্ছি কিন্তু আমাদের সময় দিতে হবে। তবে এখানে আসার পর আমরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি মাস থেকেই ৩৫ হাজার টাকা ভাতা দাবি করছি।
এর আগে, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের অবরোধের কারণে আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়।
দ্বিতীয় দফায় চিকিৎসকদের এই অবরোধকে কেন্দ্র করে সতর্ক অবস্থানে থাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শাহবাগ মোড়ে প্রস্তুত রাখা হয় সাঁজোয়া যান এপিসি ও জলকামান।
দফায় দফায় আন্দোলনে ২০ হাজারের ভাতা প্রথমে ২৫, এরপর গত ২৬ ডিসেম্বর ৩০ হাজার টাকা ভাতা করে প্রজ্ঞাপন দেয় সরকার। সেটি প্রত্যাখ্যান করে অনির্দিষ্টকালের কর্মসূচি পালন করছে ট্রেইনি চিকিৎসকরা। শিগগিরই যৌক্তিক সমাধান না এলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি তাদের।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।