বিনোদন ডেস্ক : আমির খানের অন্যতম প্রতীক্ষীত ছবি ছিব ‘লাল সিং চাড্ডা’। প্রায় ১৫ বছরের চেষ্টায় অস্কার জয়ী ছবি ‘ফরেস্ট গাম্প’-র সত্ত্ব কেনেন আমির। তারপর শুরু লাল সিং চাড্ডার প্রস্তুতি। প্রায় চার বছরের ধরে শ্যুটিং চলে এই ছবির। প্রত্যাশা অনেকটাই ছিল আমিরের (Aamir Khan) এই ছবি নিয়ে। কিন্তু মুক্তি পর যতদিন এগোতে শুরু করল বক্স অফিসে রিপোর্টটা যেন পরিস্কার হয়ে গেল। প্রথম সপ্তাহে এই ছবির বক্স অফিস কালেকশন ছিল ৪৯ কোটি। দশমদিনে এই ছবি ৫০ কোটি ছুঁতে (Laal Singh Collection) পেরেছে।
কিন্তু আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো এতসবের পরও আন্তর্জাতিক বাজারে ভালো আয় করেছে লাল সিং চাড্ডা।
আন্তর্জাতিক বাজারে এবার বলিউডের সিনেমাগুলোর মধ্যে ভালো ব্যবসা করেছে গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি, ভুল ভুলাইয়া টু ও দ্য কাশ্মীর ফাইলস। কিন্তু লাল সিং চাড্ডা ভারতের বাইরের বাজারে এ তিন সিনেমার প্রতিটির তুলনায় বেশি আয় করেছে। আন্তর্জাতিক বক্স অফিসে লাল সিং চাড্ডার আয় প্রায় ৭৫ লাখ ডলার। বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুসারে আমির খানের সিনেমাটি ভারতের বাইরে আয় করেছে প্রায় ৫৯ কোটি রুপি। অতিমারী-পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে বলিউডের সিনেমার এ রকম আয় আশাজাগানিয়া। অবশ্য এখানেও এগিয়ে আছে রাজামৌলির আরআরআর।
সিনেমাটির এমন অদ্ভুত পারফরম্যান্সের কারণ হিসেবে অনেকে মনে করছেন সিনেমাটি বর্তমান সময়ের দর্শকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করার মতো নয়। এ ধরনের সিনেমা আরো কয়েক বছর আগে দর্শকরা পছন্দ করতেন। ফরেস্ট গাম্পের মতো একটি সিনেমার রিমেক নিয়ে এ সময় তাদের আগ্রহ নেই। অনেকেই মূল সিনেমাটা দেখে ফেলেছেন। তারা ভারতের প্রেক্ষাপটে আমেরিকান গল্প দেখতে আগ্রহী নন। তাছাড়া অতিমারীর পর এখন ভারতের দর্শকরা সিনেমা কিছুটা বেছে বেছে দেখেন। তাদের পছন্দের তালিকায় থাকে অ্যাকশন ঘরানার দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা। তবে আমির খানের ভক্তরা তার যেকোনো সিনেমাই দেখবেন এটা স্বাভাবিক।
আমেরিকা ও কানাডায় আমির খানের বহু ভক্ত আছেন। তারা অপেক্ষায় থাকেন কবে আমির বা একজন বড় স্টারের সিনেমা আসবে। সে সূত্রে এ দর্শকশ্রেণী লাল সিং চাড্ডা বা বলিউডের চর্চিত সিনেমা দেখে থাকেন। এরাই লাল সিং চাড্ডার আন্তর্জাতিক বক্স অফিস আয়ের মূল কাণ্ডারি। কিন্তু এর বাইরে সিনেমাটি ভালো করতে পারেনি। মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলে ব্যর্থ হয়েছে লাল সিং চাড্ডা। এ অঞ্চলে সিনেমাটি আয় করেছে আনুমানিক ১৫ লাখ ডলার।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ভারতের বাজারে সিনেমাটির আয় ৫৬ কোটি ডলার, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় ৬০ কোটি। সব মিলিয়ে সিনেমাটির আয় মোট প্রায় ১২৬ কোটি রুপি। বক্স অফিস বিশেষজ্ঞদের মতে, এ অঙ্কের কাছাকাছিই থাকবে সিনেমাটির আয়। খুব বেশি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।সূত্র: বলিউড হাঙ্গামা ও টাইমস নাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।