স্পোর্টস ডেস্ক : এক যুগের বেশি সময় পর নিজেদের দেশে টেস্ট জিতল পাকিস্তান। করাচিতে পঞ্চমদিন ১৬ বলের মধ্যে শ্রীলঙ্কার শেষ তিন উইকেট তুলে নিয়ে ২৬৩ রানের বিশাল জয় পেয়েছে স্বাগতিকেরা।
আগের দিন শেষ বলে উইকেট নেওয়া ১৬ বছর বয়সী পেসার নাসিম শাহ সোমবার প্রথম বলেই আঘাত হানেন। ফিরিয়ে দেন এম্বুলডেনিয়াকে। পরের ওভারে উইকেট নেন ইয়াসির শাহ। তিনি বিদায় করেন সেঞ্চুরি করা ওসাদা ফার্নান্দোকে (১০২)। দিনের তৃতীয় ওভারে আবার সাফল্য পান নাসিম। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বিশ্ব ফার্নান্দোকে।
রবিবার তিন উইকেট নেওয়া নাসিম এদিন আরও দুই উইকেট নিয়ে পাঁচ উইকেট পূরণ করেন। প্রথম ইনিংসে উইকেটহীন ছিলেন তিনি।
পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে চার সেঞ্চুরিতে ৫৫৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। প্রথম ইনিংসে ২৭১ রান করে অলআউট হওয়া শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গেছে ২১২ রানে। পাকিস্তান এর আগে ২০০৬ সালে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতেছিল।
রবিবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে জয় থেকে ৩ উইকেট দূরে ছিলেন নাসিমরা। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টটি ড্র হয়।
রবিবার পাকিস্তানকে বিজয় উদ্যাপন করতে দেননি মূলত ওসাদা ফার্নান্দো। টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সোমবার কোনো রানই যোগ করতে পারেননি।
গতকাল ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর নিরশান ডিকভেলাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ওসাদা। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৪ রান যোগ করে এই জুটি। ডিকভেলাকে সরাসরি বোল্ড করে লঙ্কান প্রতিরোধ ভাঙেন হারিস সোহেল। ৭৬ বলে ৬৫ রান করেন তিনি ১১ চারে।
রবিবার লাঞ্চ বিরতিতে ৩ উইকেটে ৫৫৫ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে দেয় পাকিস্তান। শনিবারের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজহার আলি ও বাবর আজম তুলে নেন সেঞ্চুরি। আজহার ১১৮ করে ফিরলেও বাবর ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাদের আগে দুই ওপেনার আবিদ আলি ১৭৪ ও শান মাসুদ ১৩৫ রানের ইনিংস খেলেন। তাতে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানের থেকেই আসে সেঞ্চুরি। টেস্ট ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটল মাত্র দ্বিতীয়বার।
এর আগে ২০০৭ সালে ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের চার টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেন।
Get the latest News first— Follow us on Zoombangla Google News, Zoombangla X(Twitter) , Zoombangla Facebook, Zoombangla Telegram and subscribe to our Zoombangla Youtube Channel.