পাসপোর্ট করার ঝামেলা এখন অতীত। ঘরে বসেই অনলাইনে ই-পাসপোর্টের আবেদন থেকে শুরু করে ফি পরিশোধ—সবকিছু করা যায় মাত্র কয়েকটি ধাপে। ডিজিটাল সেবার উন্নতির ফলে সময়, টাকা এবং ঝামেলা—সবই কমেছে।

ই-পাসপোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, আবেদনকারীরা বাসা থেকেই অনলাইন ফর্ম পূরণ ও পেমেন্ট করে নির্ধারিত সময়ে বায়োমেট্রিক দিয়ে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারেন। আজ জানুন ই-পাসপোর্টের আবেদন করার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ও ফি-সংক্রান্ত সব তথ্য।
ই-পাসপোর্ট করতে ৫টি সহজ ধাপ
১️. এলাকায় ই-পাসপোর্ট সুবিধা চালু আছে কিনা নিশ্চিত করুন
প্রথমেই দেখুন আপনার এলাকায় ই-পাসপোর্ট সেবা চালু আছে কিনা।
ওয়েবসাইট: epassport.gov.bd
২️. অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ
“অনলাইনে আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন
জেলা, থানা নির্বাচন করুন
বৈধ ইমেইল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন
ব্যক্তিগত তথ্য, এনআইডি, ঠিকানা সঠিকভাবে দিন
সাবমিট শেষে প্রিন্ট কপি নিন (বায়োমেট্রিকে লাগবে)
৩️. পাসপোর্ট ফি পরিশোধ
পাসপোর্ট মেয়াদ ও পৃষ্ঠার সংখ্যা অনুযায়ী ফি নির্ধারণ।
পেমেন্ট মাধ্যম:
অনলাইন (কার্ড/বিকাশ/নগদ)
ব্যাংক জমা (স্লিপ সংরক্ষণ জরুরি)
বাংলাদেশে আবেদনকারীদের ফি
৪৮ পৃষ্ঠা (৫ বছর মেয়াদ) সাধারণ: ৪ হাজার ২৫ টাকা। জরুরি: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। অতি জরুরি: ৮ হাজার ৬২৫ টাকা
৪৮ পৃষ্ঠা (১০ বছর মেয়াদ) সাধারণ: ৫ হাজার ৭৫০ টাকা। জরুরি: ৮ হাজার ৫০ টাকা। অতি জরুরি: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠা (৫ বছর মেয়াদ) সাধারণ: ৬ হাজার ৩২৫ টাকা। জরুরি: ৮ হাজার ৬২৫। অতি জরুরি: ১২ হাজার ৭৫০ টাকা।
৬৪ পৃষ্ঠা (১০ বছর মেয়াদ) সাধারণ: ৮ হাজার ৫০ টাকা। জরুরি: ১০ হাজার ৩৫০ টাকা। অতি জরুরি: ১৩ হাজার ৮শ টাকা।
প্রবাসীদের জন্য ফি
বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে আবেদনকারীদের ফি ইউএস ডলারে পরিশোধ করতে হয়।
শ্রমিক ও ছাত্রদের জন্য:
৪৮ পৃষ্ঠা (৫ বছর মেয়াদ): নিয়মিত ৩০ ডলার, জরুরি ৪৫ ডলার।
৪৮ পৃষ্ঠা (১০ বছর মেয়াদ): নিয়মিত ৫০ ডলার, জরুরি ৭৫ ডলার।
৬৪ পৃষ্ঠা (৫ বছর মেয়াদ): নিয়মিত ১৫০ ডলার, জরুরি ২০০ ডলার।
৬৪ পৃষ্ঠা (১০ বছর মেয়াদ): নিয়মিত ১৭৫ ডলার, জরুরি ২২৫ ডলার।
৪️. নির্ধারিত দিনে বায়োমেট্রিক
নিয়ে যান—
এনআইডির কপি ও মূল
নাগরিক সনদ/বিদ্যুৎ বিল
পুরোনো পাসপোর্ট (যদি থাকে)
চাকরিজীবীদের জন্য NOC/GO (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
১৮ বছরের নিচে:
জন্মনিবন্ধন
বাবা-মায়ের এনআইডির কপি
৬ বছরের নিচে শিশুদের ৩-আর সাইজ ছবি (ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ড)
হারানো পাসপোর্ট:
থানায় করা জিডি
পুরোনো পাসপোর্টের কপি (যদি থাকে)
সেখানে ছবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও স্বাক্ষর নেওয়া হবে।
৫️, পাসপোর্ট সংগ্রহ
পাসপোর্ট প্রস্তুত হলে এসএমএস যাবে।
রসিদ/ডেলিভারি স্লিপ দেখিয়ে সংগ্রহ করুন।
চাইলেই প্রতিনিধি পাসপোর্ট আনতে পারবেন (এনআইডি লাগবে)।
পাসপোর্ট পাওয়ার সময়সীমা
সেবা ধরন
সময়
সাধারণ ১৫ কর্মদিবস / ২১ দিন
জরুরি ৭ কর্মদিবস / ১০ দিন
অতি জরুরি ২ কর্মদিবস
অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক
“স্ট্যাটাস চেক” অপশনে গিয়ে
জন্মতারিখ
ট্র্যাকিং নম্বর
দিয়ে আবেদন অগ্রগতি দেখা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
ফর্মে ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে
১৮ বছরের কম বয়সীদের পাসপোর্ট ৫ বছরের জন্য
হারানোর ক্ষেত্রে দ্রুত জিডি করতে হবে
সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশের মিশনের ওয়েবসাইট থেকে প্রবাসীরা ফি-তালিকা দেখবেন
ডিজিটাল সেবায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। ঘরে বসে সঠিকভাবে আবেদন করলে কোনো দালাল ছাড়াই দ্রুত ই-পাসপোর্ট পাওয়া সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



