জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি বরাদ্দে নির্মিত ঘর উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
শনি ও রোববার দুই দিনে বিভিন্ন ইউনিয়নগুলোর ২৪০ গৃহহীন পরিবারের মাঝে নির্মিত ঘরের প্রতীকী চাবি হস্তান্তর করা হয়।
পর্যায়ক্রমে আরও ৬০টিরও বেশি পরিবারকে গৃহনির্মাণ করে দেয়া হবে।
ঘর পাওয়া ২নং বাকিলা ইউনিয়ন খলাপাড়া গ্রামের খোকন চন্দ্র দাসের মেয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী শ্রাবণী। টিউশনি করে মা, বাবা, বোনদের খরচ যোগাত সে। থাকত অন্যের ঘরে।
দেশের জনপ্রিয় এক দৈনিক পত্রিকায় তার অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ হলে স্থানীয় প্রশাসন তাকে ঘর দেয়ার উদ্যোগ নেয়। শনিবার ঘরের চাবি পেয়ে স্থানীয় এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমকে ধরে আনন্দে কেঁদে ফেলে শ্রাবণী।
মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম এ সময় শ্রাবণীর পরিবারের লেখাপড়া ও অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
শ্রাবণী বলেন, আমি থাকার ঘর পেয়ে খুবই আনন্দিত যা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।
একইভাবে উপজেলার ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের অসহায় খোয়াজ ফকির বাড়ির ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। তিনি জানান, কোনো মতে দিন মজুরে আমার সংসার চলে। ঘর করার সামর্থ্য ছিল না। সরকার আমাকে একটি ঘর করে দেয়ায় মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছি।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আমি নিখুতভাবে যাচাই-বাছাই করে অসহায় গৃহহীন পরিবারদের চিহ্নিত করেছি। এই পর্যন্ত ২৪০টি ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিয়েছি। বাকি কাজ পর্যায়ক্রমে হচ্ছে। ঘর পেয়ে গৃহহীনদের মুখে হাসি দেখে আমি আনন্দিত।
উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মো. মাইনুদ্দীন, উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ ও মির্জা শিউলি পারভীন মিলি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন মিয়াজীসহ উপজেলার স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।