বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : এলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্সের মাধ্যমে মহাকাশে ঘুরে এসেছেন অনেকে। কিন্তু মহাকাশে হোটেল খুলে সেখানে একেবারে রাত্রিযাপনের ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে ২০২৫ সাল নাগাদ। ক্যালিফোর্নিয়ার মহাকাশ সংস্হা অরবিটাল অ্যাসেম্বলি এ ধরনের একটি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। ঐ হোটেলে থেকে এক জন পর্যটক সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন সৌরজগৎ এবং এর আশপাশ।
মাার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, অরবিটাল অ্যাসেম্বলি পর্যটকদের আবাসনসহ একটি নয় বরং দুটি মহাকাশ স্টেশন চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে যে স্পেস হোটেল চালু হবে তাতে ২৮ জন লোকের থাকার ব্যবস্হা থাকবে। কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়, ভবিষ্যতে সেখানে অফিসের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য একটি স্পেস ‘বিজনেস পার্ক’ চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
অরবিটাল অ্যাসেম্বলির চিফ অপারেটিং অফিসার টিম আলতোরে মনে করেন, মহাকাশ পর্যটন শুরু হওয়ার পর নানা বাধা ছিল। কিন্তু ভবিষ্যতের দিনগুলোতে এসব বাধা উঠে যাবে। বিশাল সংখ্যক মানুষের জন্য মহাকাশে বাস করা, কাজ করা এবং উন্নতি করার লক্ষ্য নিয়ে তার কোম্পানি কাজ করছে বলে জানান। অরবিটাল অ্যাসেম্বলি জানিয়েছে, স্পেস হোটেল হবে মূলত পৃথিবীর চারপাশে ঘূর্ণায়মান একটি চাকার মতো।
স্পেস হোটেলের নাম দেওয়া হয়েছে ভন ব্রাউন স্টেশন। হোটেলের ধারণাটি ৬০ বছর বয়সি এক জন ডিজাইনার দিয়েছিলেন—যার নাম ওয়ার্নহার ভন ব্রাউন। তিনি এক জন মহাকাশ প্রকৌশলী যিনি দীর্ঘদিন জার্মানিতে কাজ করে এখন যুক্তরাষ্ট্রে স্হায়ী হয়েছেন।
ব্রাউন বলেন—‘এটি হবে একটি আরামদায়ক হোটেল যেখানে থেকে যে কেউ অনুভব করবেন তিনি বাড়িতে আছেন। আমাদের বসবাস শুধুমাত্র পৃথিবীতে নয়, সমগ্র সৌরজগতেই হওয়া উচিত। সৌরজগতে অনেক সম্পদ রয়েছে সেগুলোকে আমাদের ব্যবহার করতে হবে। এটা পৃথিবীর জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন এবং উন্নত করতে সহায়তা করবে।
তার মতে, মহাকাশে যাওয়ার টিকিটের দাম বর্তমানে প্রচুর তবে ভবিষ্যতে মহাকাশ পর্যটন কেবল বিলিওনিয়ারদের জন্য হবে না। তিনি বলেন, ‘শুধু ধনী নয়, স্পেস হোটেল যাতে সবার আয়ত্তে আসে সেজন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।