অনেক মানুষ গভীর ঘুম থেকে ভয় পেয়ে জাগেন। ভয় পান। ঘুমের মধ্যে যে স্বপ্ন দেখে ভয়ে হিম হয়ে থাকেন। চিনতা করতে থাকেন, ভয়ঙ্কর সেই দুঃস্বপ্ন নিয়ে। কেউ বা ভেবেই দুশ্চিন্তায় পরে যান। কেন এরকম দুঃস্বপ্ন দেখেন? তবে বিশেষজ্ঞরা সাধারণত বলেন, একটা নির্দিষ্ট সময় মেনে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার উচিৎ। অর্থাৎ প্রতি রাতে একই সময়ে ঘুমাতে যেতে হবে। আর ঘুমের পুর্বে কিছু নিয়ম মানতে হবে।
ধূমপান, এলকোহল, বা অতিমাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ, এসব থেকে একবারেই দূরে থাকা উচিৎ।
বন্ধ করা উচিৎ ভিডিও গেম খেলাও। অনেকেই ঘুমাতে যাওয়ার আগে বই পড়েন। তবে কেউ কেউ আবার ভৌতিক গল্পের বই পড়েন। আর বিপত্তি এখানেই। তার ফল আসে স্বপ্নে দুঃস্বপ্ন হয়ে। কেউ বা ঘুমানোর আগে সিনেমা দেখেন। হরর টাইপ মুভি এড়িয়ে চলা জরুরি এক্ষেত্রে। এগুলো ব্রেনের ওপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে।
আর যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে বা এই কারণে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তারাও ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখেন বলে জানা যায়।
হঠাৎ কোনও মানসিক আঘাত পেলে বা অতীতের কোনও ঘটনা যেমন শারীরিক নির্যাতন, সেক্সুয়াল অ্যাসল্ট, ধর্ষণ বা দুর্ঘটনা, রাগারাগির ফলে কিছু মানুষের পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস জিসঅর্ডার এর সমস্যা হতে পারে। আর যাদের এই সমস্যা আছে তারা প্রায়ই ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখেন।
সারাদিনের স্ট্রেস, ক্লান্তি থেকেও ঘুমের সমস্যা হয় । এসব কারণেও দুঃস্বপ্ন দেখা স্বাভাবিক ব্যাপার ।
কিছু ওষুধ রয়েছে, যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে ঘুমের সমস্যা হতে পারে । সাধারণত উচ্চ-রক্তচাপ বা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ থেকে শরীরে মেটাবলিজমের মাত্রা বেড়ে গিয়ে ঘুমের সমস্যা হওয়ার প্রবণতা থাকে । তাই এ ধরণের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।
ঘুমের আগে হালকা ব্যায়াম করা বেশ উপকারী। দুশ্চিন্তার বাইরে কোন মানুষ নেই। তবুও সুস্থ ঘুম শরীরকে সুস্থ রাখে। নিরবিচ্ছিন ঘুমের জন্য যথা সম্ভব দুশ্চিন্তা দূর করা উচিৎ। এছাড়া ঘুমানোর জায়গাটিও হওয়া উচিৎ নিরিবিলি এবং পরিচ্ছন্ন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।