ধর্ম ডেস্ক : সকালে ঘুম থেকে ওঠেন তবে সারা দিন আপনার অনেক ভাল কাটবে। পুরোটা দিন কাজে লাগাতে এবং সুস্থ থাকতে সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। ঘুম থেকে ওঠার নিম্নোক্ত পর কাজগুলো করা সুন্নত।
১. ঘুম থেকে উঠে সর্বপ্রথম করণীয় হলো, হাত দিয়ে চেহারা থেকে ঘুমের প্রভাব দূর করা। (বুখারি, হাদিস : ১৮৩)
২. ঘুম থেকে ওঠার দোয়া পড়া। দোয়াটি হলো, ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বাদা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর।’
অর্থ : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আমাদের মৃত বানানোর পর জীবিত করেছেন। আর তাঁর দিকেই পুনরুত্থান। (বুখারি, হাদিস : ৬৩২৪)
৩. আল্লাহর কাছে দোয়া করা : উবাদা ইবনে সামেত (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি রাতের ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ করবে, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির, আল-হামদু লিল্লাহ, ওয়া সুবহানাল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। ’
অথবা এই দোয়া পাঠ করে—আল্লাহুম্মাগ ফিরলি—হে আল্লাহ, আপনি আমাকে মাফ করে দিন কিংবা সে যেকোনো দোয়া করে, তাহলে তার দোয়া কবুল করা হবে। আর যদি সে অজু করে এবং সালাত আদায় করে, তার সালাত কবুল করা হবে। (বুখারি, হাদিস : ১১৫৪)
৪. আকাশের দিকে তাকিয়ে সুরা আলে ইমরানের শেষ ১০ আয়াত পাঠ করবে। (মুসলিম, হাদিস : ৬৭৩)
৫. মিসওয়াক করবে। কেননা রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুম থেকে উঠে মিসওয়াক করতেন। (বুখারি, হাদিস : ২৪৫)
মিসওয়াক করতে না পারলে ব্রাশ করে নেবেন।
৬. অজু করে নেবে। গোসল ফরজ হলে গোসল করে নেবে।
৭. সম্ভব হলে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করবে। তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করলে কুপ্রবৃত্তি দমন ও শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘অবশ্যই দলনে রাত্রিকালীন উত্থান প্রবলতর এবং বাকস্ফুরণে সঠিক। ’ (সুরা : মুজ্জাম্মিল, আয়াত : ৬)
৮. জামাতের সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করবে।
গ্রন্থনা : কাসেম শরীফ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।