লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঘুম থেকে উঠার পর, বিছানা থেকে পা নামাতে গিয়ে হঠাৎ করেই অনেকেই টের পান- পায়ের গোড়ালিতে তীব্র ব্যথা অনুভূত হচ্ছে। চিকিৎসকেরা এটাকে বলেন- প্লান্টার ফ্যাসাইটিস। পায়ের পাতার নিচে যে প্লান্টার ফাসা নামে মোটা পর্দা রয়েছে, তাতে প্রদাহ হলে এই সমস্যা হয়। কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটির পর সেই ব্যথা কমে আসে। আবার কারও আরও বেশি সময় লাগে।
কেন হয় গোড়ালি ব্যথা
সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের বেশি হয় এই সমস্যা। দীর্ঘ সময় ধরে গোড়ালিতে চাপ পড়ে এমন কোনো কাজ এর ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন ব্যালে নাচ, ম্যারাথন দৌড় বা অ্যারোবিক নাচ।
অতি ওজন বা স্থূলতা পায়ের ওপর অতিরিক্ত ভরের সৃষ্টি করে। এই চাপ গিয়ে পড়ে পায়ের পাতার কলাসমূহের ওপর। ফলে শুরু হতে পারে ব্যথা।
আবার কারও কারও পায়ের বাঁক অস্বাভাবিক থাকে, তারাও এই ঝুঁকির মধ্যে পড়েন। যারা দিনের বেশির ভাগ সময় দাঁড়িয়ে কাজ করেন, যেমন কারখানার শ্রমিক, শিক্ষক—তাদেরও দীর্ঘ সময় গোড়ালিতে ওজন নেয়ার কারণে প্রদাহ হতে পারে। খালি পায়ে শক্ত কাজ করাও ভালো নয়।
করণীয় কী
পা উঁচু টুলের ওপর রাখার চেষ্টা করতে হবে। এবার একটি বড় ফিতা পায়ের পাতার সামনের দিকে আটকে দিয়ে দুই প্রান্ত দুই হাত দিয়ে ৩০ সেকেন্ড ধরে হালকা চাপে রাখুন বা টানুন। এভাবে উভয় পায়ে করুন।
পায়ের ব্যথাযুক্ত জায়গায় ২-৩ ঘন্টা পরপর বরফ বা আইসপ্যাক রাখতে হবে। সকালে ও রাতে হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ মিনিট করে পা ভিজিয়ে রাখা যেতে পারে।
ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই তা কমাতে হবে। নারীদের ক্ষেত্রে প্রশস্ত আরামদায়ক নিচু হিলের নরম জুতা ব্যবহার করতে হবে। পায়ের ওপর চাপ পড়ে না এমন ব্যায়াম, যেমন সাঁতার কাটা যেতে পারে।
প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। কারও কারও স্টেরয়েড প্রয়োগ করে সাময়িকভাবে ব্যথা কমানো যায়। সাধারণ এসব চিকিৎসা ও ব্যথানাশকে ফল না হলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।