সরকারি কর্মচারী আইন কার্যকর হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে দুই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আইন কার্যকর হওয়ার মধ্যে কীভাবে তাদের গ্রেপ্তার করা হলো—এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, আমার যতটা মনে আছে, সরকারি কর্মচারী আইনে বলা হয়েছে ‘সরকারি দায়িত্ব’ পালনকালে যদি কোনো ফৌজদারি মামলা হয়, তবে চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত তাদের সরকারের অনুমতি ছাড়া গ্রেপ্তার করা যাবে না।
এ সময় দুদক চেয়ারম্যান প্রশ্ন করেন, ‘ঘুষ আদান-প্রদান কি সরকারি দায়িত্ব? ঘুষ খাওয়া কি সরকারি দায়িত্বের মধ্যে পড়ে?’
আজ সোমবার সকালে কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দুদক চেয়ারম্যান। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁওয়ে সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনিসুর রহমান ও একই অফিসের অফিস সহকারী মো. জুলফিকারকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের একটি বিশেষ টিম তাদের গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক আইনের প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঘুষ খাওয়া ‘সরকারি দায়িত্ব’ নয়। বর্তমান সরকার যেভাবে ঘুষ-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অনুসরণ করছে, দুদক ঠিক একই নীতি বাস্তবায়ন করছে। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোনও অবকাশ নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় সংসদে যেসব আইন পাস হয়, তার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা রেখেই দায়িত্ব পালন করছে দুদক।
আরেক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কোনো ব্যক্তি, কোনো বিশেষ পেশা দুদকের কাছে মুখ্য বিষয় নয়। দুদকের বিচার্য বিষয় হচ্ছে, দুর্নীতি হয়েছে কি না এবং তা কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত অপরাধ কি না। যদি অপরাধটি কমিশন আইনের তফসিলভুক্ত হয়, তাহলে যিনিই হোক, তাকে ন্যূনতম ছাড় দেবে না কমিশন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।