জুমবাংলা ডেস্ক : ঘূর্ণিঝড় রেমালে পল্লী বিদ্যুৎ ও ওজোপাডিকোর ২ কোটি ৭০ লাখ ৩১ হাজার ৯৩১ জন গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থারও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এর মধ্যে কেবল পল্লী বিদ্যুতেরই ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫০ জন গ্রাহক আছেন বলে সোমবার (২৭ মে) সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ বিভাগের বার্তায় জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ২ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৫৫০ জন গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৮১ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিকভাবে ৯১ কোটি ২০ লাখ টাকার বেশি বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে, মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ফেসবুক পেজে জানানো হয়, কেন্দ্রীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তদারকি করছে পল্লী বিদ্যুৎ। এছাড়া জেলা পর্যায় ও সমিতি ভিত্তিক কন্ট্রোল রুম বসানো আছে। পরিবহন ঠিকাদারদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও ওজোপাডিকো এলাকায় সব ধরনের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি ঝড় বা বাতাস কমার সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হবে বলে জানানো হয় সেই পোস্টে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের শুরুতে সাগরে ভাসমান টার্মিনাল (এফএসআরইউ) এলএনজি সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হলেও সেখানকার পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হতে চলেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্থাপনাগুলোর কোনো ধরনের ক্ষতি সাধিত হয়নি।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে দেশের উপকূলীয় ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৩৫ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ঝড়ে উপকূলের ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে উপকূল ও আশপাশের ১৯ জেলা। এগুলো হলো- সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি। এ ছাড়া আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।