জুমবাংলা ডেস্ক : চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই দেশে ডেঙ্গুজ্বরে মৃত্যু হয়েছে রেকর্ড ৩৩ জনের। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় তিন হাজারে। প্রচণ্ড খরতাপ আর শুষ্ক আবহাওয়ার মাঝেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর এই সংখ্যাকে উদ্বেগজনক উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ‘ঘূর্ণিঝড় রেমালের’ প্রভাবে বৃষ্টিপাতে আরও মাথাচাড়া দেবে ভাইরাসটি।
বৃষ্টি যেমন ডেঙ্গুর বাহক এডিসের প্রজননের জন্য সহায়ক, তেমনি খরতাপ তার ঠিক বিপরীত। শুষ্ক প্রকৃতিতে বংশ বিস্তারের সুযোগ পায় না এডিস। গত কয়েক মাস এডিসের জন্য এক প্রকার প্রতিকূল পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশজুড়ে। কিন্তু হাসপাতালের বাস্তবতা কী?
ডেঙ্গুর মূল মৌসুম ধরা হয় মূলত জুন ও জুলাইকে। বছরব্যাপী কমবেশি রোগী থাকলেও চলতি বছরের বাস্তবতা ভিন্ন, যার প্রমাণ মেলে রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরইমধ্যে হাসপাতালটিতে বাড়াতে শুরু করেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি বছর হাসপাতালটিতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও এরইমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের।
বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যানও বার্তা দিচ্ছে ভয়াবহতার। চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দেশজুড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে রেকর্ড গড়ার বছর ২০২৩ সালকেও। বিগত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১৩ জনের মৃত্যু হলেও চলতি বছর এরইমধ্যে মারা গেছেন ৩৩ জন।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এডিস মশা খাপ খাইয়ে গেছে। না হলে এত তাপে এডিস মশা থাকার কথা ছিল না। সুতরাং সামনে কী ঘটবে, সেটা দেখার জন্য বৃষ্টির অপেক্ষা করতে হবে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টিপাতে ডেঙ্গু আরও মাথাচাড়া দেবে আশঙ্কা করে ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে মাসভিত্তিক কর্মকৌশল প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদ বলেন, আমাদের কৌশলটা হওয়া উচিত ডেঙ্গু নির্মূল নয়, নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণটা যেন আমরা আমাদের কর্মকৌশল দ্বারা কার্যকরভাবে করতে পারি। নিয়তির ওপর যেন নির্ভর করতে না হয়।
ডেঙ্গুতে ৩ লাখের বেশি আক্রান্ত ও ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রেকর্ড গড়ে ২০২৩ সাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।