জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে দ্বীপজেলা ভোলায় শুক্রবার রাত থেকেই ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হয়েছে। ঝড়ে এ পর্যন্ত দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানিতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত রয়েছে।
শনিবার সকালে ভোলা সদরের দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে ঘরচাপা পড়ে রানী বেগম (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রানী বেগম ওই এলাকার সামসুল হকের স্ত্রী ও দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্র্ডের বাঁধের বাসিন্দা।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমির ফসল, রাস্তা-ঘাট ও গাছপালা। ভোলা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চত করেছেন।
এদিকে শনিবার সকালে লালমোহনের কচুয়াখালী চর থেকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এতে চার থেকে পাঁচজন আহত হয়েছেন। তবে কেউ নিখোঁজ হয়নি।
কচুয়াখালীর চর থেকে জেলে নাছির উদ্দিন জানান, শনিবার সকালে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে মাইনুদ্দিনে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে ৪-৫ জন আহত হলেও কেউ নিখোঁজ নেই।
ভোলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্ততি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক সাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সমগ্র ভোলাতে ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৭০-৮০ কিলোমিটার। এখনো সাত নম্বর সংকেত বহাল রয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুল আমিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
ভোলার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছি। তবে এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’ সূত্র: ইত্তেফাক
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।