
জুমবাংলা ডেস্ক: আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যালোচনা অনুযায়ী মঙ্গলবার শেষ রাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে দেশের খুলনাসহ তৎসংলগ্ন এলাকাগুলোএত আঘাত হানতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। খবর ইউএনবি’র।
এমন অবস্থায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছে খুলনা জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ‘জেলায় ৩৪৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকায় সব স্কুল ও কলেজকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব উপজেলায় জনগণকে সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে।’
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় রেডক্রিসেন্টের ওসিপিপির ২ হাজার ৪৬০ জন এবং বেসরকারি এনজিওর ১১শত কর্মী প্রস্তুত রয়েছেন বলেও জানান তিনি।
প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও দাকোপ সবথেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।’
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকেগভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।