জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার সকাল বেলার পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩/৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আছড়ে পড়ে। জোয়ারের পানিতে উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সমুদ্রিক জোয়ারের ঢেউয়ের আঘাতে সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের পূর্ব ও পশ্চিম দিকে কিছু এলাকা তলিয়ে গেছে। সেন্ট মার্টিনস দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর আহমদ কালের কণ্ঠকে জানান- ‘সকালে বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে জোয়ারের পানির তোড়ে দ্বীপের একমাত্র জেটির আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
তিনি জানান, গতকাল সারা দিন গুঁড়ি গুঁড়ি বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বয়ে গেছে দ্বীপে। তবে জেলার অন্য কোথাও বৃষ্টি হয়নি এবং জোয়ারের পানিতে তেমন ক্ষতিও হয়নি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি জানান, জেলার নিম্নাঞ্চল থেকে কমপক্ষে ৬ লাখ লোক নিরাপদে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলার জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু, উদ্ধার কাজের জন্য প্রয়োজনীয়সংখ্যক যানবাহন ও নৌযান প্রস্তুতসহ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপিপি) ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্সবাজার জেলার ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র ও ২৫টি মুজিব কিল্লায় মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখতেও উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।