জুমবাংলা ডেস্ক: সাগর ও নদী বেষ্টিত দ্বীপজেলা ভোলা ও পিরোজপুর, বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আয়োজনে স্ব স্ব জেলা প্রশাসনের বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর ইউএনবি’র।
ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক জানিয়েছেন, বিশেষ সভার মাধ্যমে সরকারি বেসরকরি সকল দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আশ্রয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৫৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও ৩৯টি মুজিব কিল্লা। চরাঞ্চল থেকে লোকজনকে নিরাপদে আনার জন্য কোস্টগার্ডের তত্বাবধায়নে যানবাহনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাইক্লোনের পূর্ববর্তী সকল প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন । এছাড়া ঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা, ২০০ মেট্টিক টন চাল ও ২ হাজার ৫০০ ব্যাগ শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। ৯২টি মেডিকেল টিম প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহ করবে। পুলিশ সদস্য আইনশৃঙ্খলারক্ষার পাশাপাশি প্রশাসনের সাথে সমন্বিত উদ্যোগ করবে।
ঘূর্ণিঝড়েরর সর্তকতা সংকেত ৭ হওয়ার পর থেকে মেঘনা- তেতুলিয়া নদীর পাড় ও বিছিন্ন চরাঞ্চলে জনসচেতনার জন্য সর্তক সংকেত প্রচার করতে দেখা গেছে। সিপিপির স্বেচ্ছাসেবীরা বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। মেঘনা- তেতুলিয়া নদীর পানির অবস্থাও স্বাভাবিক দেখা গেছে।
অপরদিকে, মোংলা বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য উঠানামার কাজ বন্ধসহ, বন্দরে অবস্থানরত সকল জাহাজ নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ পরবতী উদ্ধার তৎপরতার জন্য বন্দরকর্তৃপক্ষের তিনটি নৌযান প্রস্তত রাখা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, মোংলা বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার দুরুল হুদা এবং সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ডিএফও মাহমুদুল হাসান এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুন্দরবনের শেলারচর টহল ফাঁড়ি থেকে বন বিভাগের স্টাফদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য বাগেরহাটের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসন, মংলা বন্দর কতৃপক্ষ এবং সুন্দরবন বিভাগ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সুন্দরবন থেকে পর্যটকদের সরিয়ে আনা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসনও জরুরি সভা ডেকে জেলায় ফণি মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। প্রস্তু করা হচ্ছে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।