জুমবাংলা ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ফণির কারনে বরিশাল জেলায় ১৫শ’ বসত বাড়ির ক্ষতি ও ৯ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন এসএম অজিয়র রহমান। খবর ইউএনবি’র।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সকল কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফসলি জমির মধ্যে রয়েছে ৩ হাজার ৬৮০ হেক্টর বোরো ধান, ১ হাজার ৫১০ হেক্টর মুগডাল, ১ হাজার ৪৬৬ হেক্টর মরিচ, ২৫০ হেক্টর তিল, ৯৪০ হেক্টর শাকসবজি, ১২০ হেক্টর ভুট্টা, ৫৩৫ হেক্টর পান ও ৫৫২ হেক্টর সয়াবিন ক্ষেত।
তিনি আরও বলেন, জেলায় ৬ হাজার ৬৫ টি গাছের আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়েছে, ব্যক্তি মালিকানাধীন ২৫ টি মাছের পুকুর আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ৬৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার আংশিক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আগাম সতর্কতার কারণে আল্লাহ রহমতে বরিশালে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে যেহেতু এখনও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া রয়েছে, তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে দুর্ঘটনা রোধে বিকাল সাড়ে ৩ টা অর্থাৎ নদীতে ভাটা শুরু হওয়ার সময় থেকে পরবর্তী জোয়ার পর্যন্ত নদীতে খেয়া নৌকাসহ ছোট নৌযান শতভাগ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার।
তিনি বলেন, নদীতে বর্তমানে স্বাভাবিকের থেকে প্রায় ৩ ফুট পানি রয়েছে। আসন্ন ভাটায় নদীর পানি অনেকটাই হ্রাস পাবে, সেসময় পানি নেমে যাওয়ার আশংকা বেশি থাকবে। তাই ঝুঁকি এড়াতে নদীতে কোনো ধরনের নৌযান বিশেষ করে ছোট নৌযান না চালানো উত্তম।
এদিকে জানা গেছে, বরিশালের ৩৩১ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৩১ হাজার ৬২১ জন নারী ও শিশুসহ ৫০ হাজার ৫৬৫ জন মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। সকালে আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়েছেন অনেক মানুষ। এখন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ১২ হাজারের মতো মানুষ রয়েছে। যাদের খাবারের ব্যবস্থা করা রয়েছে।
এছাড়া খুলনা থেকে ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর তিস্তা ও মেঘনা নামের দুটি জাহাজ ৫০০ বস্তা ত্রাণ নিয়ে বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। যারা হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করবেন।
ওই ৫০০ বস্তা ত্রাণ দিয়ে ২ হাজার পরিবারকে সহায়তা করা সম্ভব হবে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে সেগুলোও বিতরণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।