কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।সোমবার (১৪ জুলাই) রাত তিনটার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত এক ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ওই পুলিশ সদস্য তার কর্মস্থলে ছিলেন এবং বাসাটিতে স্ত্রী ও তার দুই শিশুসন্তান নিয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবককে আসামি করে চকরিয়া থানায় মামলাটি হয়েছে। ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তিন মাস আগে ভাড়া বাসাটিতে ওঠেন ওই গৃহবধূ ও তার পরিবার। গত সোমবার (১৪ জুলাই) রাত পৌনে ১১টার দিকে তিনি দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক সোয়া তিনটার দিকে এক যুবক জানালার ফাঁক দিয়ে কৌশলে ঘরের মূল দরজার সিটকিনি খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন।
এরপর ওই যুবক গৃহবধূকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুটি মোবাইল ফোন ও আড়াই হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। তখন গৃহবধূ ও তার সন্তানরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ওই যুবক তাকে রান্নাঘরে নিয়ে যায় এবং রামদার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় তার স্বামী কর্মস্থলে ছিলেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ওই রাতে আনুমানিক ৩টার দিকে এক অজ্ঞাতনামা যুবক রান্নাঘরের জানালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। তার হাতে ছিল একটি ধারালো দা ও একটি টর্চলাইট। ঢুকেই তিনি ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় ঘরে থাকা তার ছোট দুটি শিশুসন্তান আতঙ্কে কাঁদতে থাকে। দুর্বৃত্ত চলে যাওয়ার পর কান্নাকাটি শুনে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা ছুটে আসে। পরে রাতেই ওই নারীর স্বামী থানায় যান। পরদিন সকালে চকরিয়া থানায় নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে মামলা করেন বলে তিনি জানান।
ওসি আরও জানান, পুলিশ সদস্যের স্ত্রীকে ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগে মামলা নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযুক্তকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।