নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শুরুর দিকে হটস্পট ছিল ঢাকা। এরপর সেটা নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকার আশেপাশের জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে সংক্রমণ হয়েছে অনেক কিন্তু সেটা অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে।
বেশ কয়েকদিন থেকে করোনার সংক্রমণ দ্রুত বাড়ছে চট্টগ্রামসহ চট্টগ্রাম বিভাগের। করোনা রোগীর সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও কক্সবাজার জেলায়।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) ওয়েবসাইটে দেওয়া সর্বশেষ (২ জুন) তথ্যানুযায়ী, কুমিল্লায় করোনা রোগী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮ জনে। ২৯ মে এই জেলায় করোনা রোগী ছিল ৭৫৩জন। চারদিনেই কুমিল্লায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৫জন।
২ জুনের তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৬২ জন কোভিড-১৯ রোগী আছে। এর আগের দিন এই জেলায় করোনা রোগী ছিল ২ হাজার ৪৪৫ জন। অর্থাৎ একদিনে চট্টগ্রামে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২১৭জন।
আইইডিসিআর-এর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে এখন করোনা রোগীর সংখ্যা ৮৮৭জন, নোয়াখালীতে ৭২৬ জন, ফেনীতে ২৪২ জন, লক্ষ্মীপুরে ১৪২ জন, বি.বাড়িয়ায় ১২১ জন, রাঙামাটি ৬৬, বান্দরবান ৩৯ এবং খাগড়াছড়িতে ৪৭ জন।
রাজধানী ঢাকায় ১৭ হাজার ৯৯৮ জন, নারায়ণগঞ্জে ২ হাজার ৬৬৬জন, গাজীপুরে ১ হাজার ১১৫জন এবং মুন্সীগঞ্জে ৮১৮জন।
বাংলাদেশে গত একদিনে নতুন করে ২ হাজার ৬৯৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হলেন মোট ৫৫ হাজার ১৪০ জন। একই সময়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় প্রাণহানি হলো মোট ৭৪৬ জনের।
বুধবার দুপুরে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় এবং ১৮ মার্চ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।